বিশ্বাস হারায়নি অস্ট্রেলিয়া, ভরসা অতীত ইতিহাসে
চলতি বিশ্বকাপে আফগানদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগেও অতশত, যদি-কিন্তু নিয়ে ভাবতে হয়নি অস্ট্রেলিয়াকে। গ্রুপপর্বের সবকটি ম্যাচ জিতে সুপার এইটেও বাংলাদেশের বিপক্ষে দাপুটে জয়ে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন দেখছিল মিচেল মার্শের দল। আফগানদের বিপক্ষে জয় পেলে নিশ্চিত হয়ে যেতে সেমিতে খেলাও। তাছাড়া আফগানদের বিপক্ষে পূর্বে কখনোই না হারার গৌরব থাকায় সেই স্বপ্ন নিয়েই ম্যাচটাতে মাঠে নেমেছিল অজিরা। ধরেই নিয়েছিল এই ম্যাচ শেষেই সেমির টিকিট নিয়ে টিম হোটেলে ফিরবে দল। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটা খেলবে নিয়মরক্ষার ম্যাচ হিসেবে চিন্তা মুক্ত হয়ে।
এখন আফগানদের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে উল্টো ঘুম হারামের দশা অস্ট্রেলিয়ার। কেননা, আফগানদের বিপক্ষে ম্যাচটা যে তারা হেরে বসেছে ২১ রানের ব্যবধানে। আর তাতেই যে শঙ্কায় পড়ে গেছে মাইটি অজিদের সেমিতে খেলার স্বপ্ন। তবে আফগানদের বিপক্ষে ধাক্কা খেলেও বিশ্বাস হারায়নি অজিরা, পেছনেও এমন খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে বিশ্বকাপ জয়ের কীর্তি আছে তাদের। মার্শ আপাতত সেই স্বপ্নেই বিভোর।
সবশেষ ভারত বিশ্বকাপেও শুরুটা ভালো হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। একটা সময় তো মনে হচ্ছিল সবার আগে না বুঝি বিদায় নেই অস্ট্রেলিয়া। তবে শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ভারতকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতে ঘরে ফিরেছিল দলটি। মার্শকে সাহস যোগাচ্ছে তাই অতীত পরিসংখ্যান।
যা নিয়ে মার্শ বলেন, ‘এই দলের ওপর আমাদের অনেক আস্থা আছে। আমরা খুব ভাল একটি দল। হ্যাঁ, আজ রাতটা আমাদের অফ নাইট গিয়েছে। তবে এর মধ্যে একটি ইতিবাচক দিকও কিন্তু আছে, পরবর্তী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ আছে। আপনি যদি এই দলের সংক্ষিপ্ত ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকান, তাহলে দেখবেন এই ধরনের পরিস্থিতি আমাদের ছেলেদের মধ্যে থেকে সেরাটা বের করে নিয়ে এসেছে। কাজেই আমাদের দল অবশ্যই এটির জন্য প্রস্তুত থাকবে।’
সেমিতে যেতে শেষ ম্যাচে ভারতকে হারাতেই হবে অস্ট্রেলিয়াকে। যা নিয়ে মার্শ বলেন, ‘এখন যেটা জরুরী সেটা হলো নিজেদের ওপর আস্থা রাখা। আমাদের কাছে অনেক ভালো ক্রিকেটার আছে এবং আমি বিশ্বাস করি যে সেই সেরাটা তাদের সাথেই আছে। তবে এখন এটাকে কয়েকদিনের মধ্যেই বের করে আনতে হবে। এবং খুব দ্রুত এগিয়ে যেতে হবে।’
আফগানদের বিপক্ষে ম্যাচে ফিল্ডিংয়ে দুর্বলতা ফুটে উঠেছে অস্ট্রেলিয়ার। যা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে মার্শকেও। তবে তিনি অবশ্য বলছেন রাতটাই ছিল না তাদের। নয়তো ফিল্ডিং ঠিকই আছে।
মার্শ নিজেদের ফিল্ডিং নিয়ে বলেন, ‘আমরা আমাদের ফিল্ডিং নিয়ে গর্বিত। ছেলেরা এটার পেছনে যেই শ্রম দেয় তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় না। আমরা এটা নিয়ে সবসময়ই কাজ করছি কিন্তু আমরা হয়তো আজ রাতে মাঠে তা দেখাতে পারিনি। শেষ পর্যন্ত এটি হয়তো আমাদের ম্যাচ হারাতে ভূমিকা পালন করেছে। তবে আমি বিশ্বাস করি নিজেদের দিনে আমরা একটি অবিশ্বাস্য ফিল্ডিং দল। আর আমি এখনও বিশ্বাস করি মাঠে আমাদের সেরাটা খুবই ভালো হতে যাচ্ছে।’
অস্ট্রেলিয়ার পরের ম্যাচ আগামীকাল রাত সাড়ে ৮ টায় যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ভারত।