সবার আগে শেষ চারে ইংল্যান্ড
ইংলিশরা এবারের বিশ্বকাপে এসেছে শিরোপা ধরে রাখার মিশন নিয়ে। কিন্তু সেই দলটাই কি না, প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায়ের শঙ্কায় ছিল, এমনকি শঙ্কা ছিল তাদের সুপার এইট থেকে বিদায়েরও। তবে সব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে আজ তারাই প্রথম দল হিসেবে চলে গেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ চার নিশ্চিত করে ফেলেছে।
টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার। শুরুতে আন্দ্রিয়েস গাউস আর স্টিভেন টেলরের উইকেট খোয়ালেও পাওয়ারপ্লেতে ৪৮ রান তুলে ফেলে আমেরিকানরা। এরপর ইংলিশরা স্পিন দিয়ে চেপে ধরে যুক্তরাষ্ট্রকে। লিয়াম লিভিংস্টোন আর আদিল রশিদের স্পিনের আট ওভারে দলটা নিতে পারে ৩৭ রান, খুইয়ে বসে ৩ উইকেট।
তখনও অবশ্য ক্রিস জর্ডান দৃশ্যপটে আসেননি। দলীয় রান যখন ১১৫, তখন এলেন। গড়ে ফেললেন ইতিহাস। হারমিত সিংকে ফেরালেন দারুণ এক ক্যাচে। গড়লেন টি-টোয়েন্টিতে ইংলিশদের হয়ে সর্বোচ্চ ক্যাচের রেকর্ড।
তবে আসল রেকর্ডটা তিনি গড়েন বোলিংয়ে এসে। হ্যাটট্রিক করে বসেন তিনি। পাঁচ বলে নেন চার উইকেট। দ্বিতীয় বোলার হিসেবে তিনি এই কীর্তিটা গড়েন। ৫ উইকেটে ১১৫ রান নিয়ে ব্যাট করতে থাকা যুক্তরাষ্ট্র শেষ হয়ে যায় আর এক রানও যোগ না করে।
এই ম্যাচের আগে ইংলিশদের সেমিফাইনালের সমীকরণটা ছিল এমন, ১১৬ রান করতে হতো তাদের ১৮.৪ ওভারে। তবে তার অর্ধেক ব্যবহার করেই দলটা চলে গেছে সেমিতে।
শুরুটা অবশ্য আশা দেখাচ্ছিল না তাদের। ২ ওভারে রান ছিল ৬। তৃতীয় ওভারে বাটলার দুই ছয় আর এক চারে তুললেন ১৯, সেই যে দুয়ারটা গেল ভেঙে, ইংল্যান্ডকে আর আটকাতে পারল না আমেরিকা। পাওয়ারপ্লেতে ৬০ আসে। এরপর নবম ওভারে ৩২ রান তুলে নেন বাটলার। পরের ওভারে জয়টাও তুলে নেয় ইংল্যান্ড। ৯.৪ ওভারে দলটা তুলে ফেলে ১১৭ রান।
এই জয়ের ফলে সবার আগে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে ইংল্যান্ড। আগামীকাল সকালে গ্রুপটার শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর দক্ষিণ আফ্রিকা মুখোমুখি হবে বাকি একটা জায়গা দখলে নিতে।