বিশ্বকাপের মাঝপথে সাকিব আল হাসান চলে এসেছিলেন ঢাকায়। মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের ইনডোরে অনুশীলন করেছেন তার দুই গুরু নাজমুল আবেদিন ফাহিম আর মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সঙ্গে। 

বিশ্বকাপ চলার সময় তার এভাবে দল ছেড়ে ঢাকায় আসায় আলোচনাও কম হয়নি। তবে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হওয়ার আগে তাসকিন আহমেদ জানালেন, প্রক্রিয়াটা সাকিব সেরেছেন ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলেই। তিনি বলেন, 'আসলে এটা (তার অনুপস্থিতি) খুব বেশি প্রভাব পড়েনি। তিনি যখন ফিরে এসেছেন আমরা দলের সবাই খুব ভালো সময় কাটিয়েছি। আসলে তিনি নিজের কিছু উন্নতির জন্য গিয়েছিলেন। ব্যাটিং প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো করছিলেন না। এজন্য নির্দিষ্ট কিছু অনুশীলনের জন্য গিয়েছিলেন যে আমাদের দলের জন্য ভালো কিছু করতে পারেন। আমি মনে করি, আমাদের এটাকে এপ্রিসিয়েসট করা উচিত।'

'তিনি আমাদের ম্যানেজমেন্ট বিসিবির সঙ্গে কথা বলেছে এবং তারপর গিয়েছেন। সেদিন আমাদের রেস্ট ডেও ছিল। অফিসিয়াল অনুশীলনে তিনি কিন্তু দলের সঙ্গেই আছেন। আমি মনে করি আমাদের এটাকে আরো এপ্রিসিয়েট করা উচিত। আমাদের কোনো প্রবলেম নেই। এটা আমাদের কোনো প্রভাব রাখেনি।'

ক্রিকেট সম্পর্কিত কারণেই যেহেতু এসেছেন, সেহেতু বিসিবিও কোনো সমস্যা দেখেনি। তাসকিন বলেন, 'তিনি তো আসলে অন্য কোনো পারপাসে যাননি। ক্রিকেট রিলেটেড পারপাসে গিয়েছিলেন। কোচ আর ম্যানেজমেন্ট যখন বলেছে ওকে ফাইন। তখন তিনি গেছেন। কোনো কিছু আসলে রুল ব্রেক করে যাননি। পারমিশন নিয়ে গেছেন। গিয়ে কিন্তু চার ঘণ্টা ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন। পরের দিনেই আবার প্র্যাকটিস করে চলে এসেছেন।'

সাকিবের এই কাজকে পুরো দলই দেখছে প্রশংসার দৃষ্টিতে। তার কথা, 'এটা আসলে আমরা প্লেয়াররা, টিম মেটটরা অ্যাপ্রিশিয়েট করছি যে রেস্ট ডে তে সে গিয়ে ব্যাটিং করছেন। তার ব্যাটিংটা আমাদের দলের জন্য এতোটা গুরুত্বপূর্ণ, তিনিও মরিয়া যে কিভাবে ভালো করা যায়। তার আসার পর আমাদের দলের সবাই একটা ডিনার করেছি। একটা ভালো টাইম কাটিয়েছি। আশা করছি সামনে নতুন কিছু শুরু করবো ভালো কিছু করে। চারটা ম্যাচ আছে এই চারটা ম্যাচও যদি ভালো খেলতে পারি তাহলে ভিন্ন কিছু হতে পারে। এখন আসলে কালকের ম্যাচটাই মেইন ফোকাস।'