অজিদের বিপক্ষে তাণ্ডব চালিয়েও সেঞ্চুরি না পাওয়ার হতাশা রোহিতের

অজিদের বিপক্ষে তাণ্ডব চালিয়েও সেঞ্চুরি না পাওয়ার হতাশা রোহিতের

ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে অজিদের বিপক্ষে হারের শোধটাই যেন তুললেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ওপেনিংয়ে নেমে রীতিমতো কচুকাটা করলেন অজি বোলারদের। ব্যাট হাতে যেন অজিদের বিপক্ষে জমানো ক্ষোভ যেন ছক্কায় বাউন্ডারি ছাড়া করলেন। এমন দিনে ১৯ বলে ফিফটি তুলেন রোহিত। এরপর আরও আগ্রাসী হয়েছেন তিনি। ছিলেন টি-টোয়েন্টির দ্রুততম সেঞ্চুরির পথেও। তবে শেষ পর্যন্ত সেটি পাওয়া হলো না তার। ৪১ বলে ৯২ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলে সেঞ্চুরি না পাওয়ার হতাশা নিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এর আগে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটা ছিল ক্রিস গেইলের। সাবেক ক্যারিবিয় এই ব্যাটার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৬ বিশ্বকাপে ৪৭ বলে গড়ে ছিলেন এই কীর্তিটা। এবার সেই রেকর্ড নিজের করে নেওয়ার খুব কাছে ছিলেন রোহিত। তবে শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি না পাওয়ার হতাশা নিয়েই স্টার্কের শিকার হতে হয় তাকে। এই স্টার্কের বলেই আজ ২৯ রান নিয়েছিলেন রোহিত। তার জবাবটা এবার দিলেন স্টার্ক। ফেরার আগে রোহিতের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৮ ছক্কা ও ৭ চারে।

রোহিতের এমন বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের পথে হাঁটছে ভারত। ৮.৪ ওভারেই ভারত পেয়েছে দলীয় শতরানের দেখা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভারতের সংগ্রহ ১৩ ওভার শেষে ৩ উইকেট খরচায় ১৪২ রান।

এর আগে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমেই বিরাট কোহলির উইকেট হারায় ভারত। তবে দলকে একটুও চাপে পড়তে দেননি অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ব্যাট হাতে রীতিমতো সুনামি বইয়ে দিয়েছেন তিনি। মিচেল স্টার্কের বিপক্ষে এক ওভারেই তুলেছেন ২৯ রান। এরপর কামিন্সের বিপক্ষেও চড়াও হয়েছিলেন রোহিত। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলেই বিশাল ছক্কায় বল গ্যালারি ছাড়া করেন রোহিত। সেই বল মাঠে আসার আগেই রোহিত ঝড় থামায় বৃষ্টি।

সেই বৃষ্টি অবশ্য থামাতে পারেনি রোহিতকে। মাঠে নেমে ফের ব্যাট হাতে অজি বোলারদের ওপর চড়াও হন তিনি। ব্যাট হাতে আগ্রসী হয়ে উঠছিলেন রিশভ পান্তও। তবে তাকে বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে দেয়নি অজিরা। ১৪ বলে ১৫ রান করে ফিরে এই ব্যাটার। এরপর রোহিতকে এসে সঙ্গ দিচ্ছেন সূর্যকুমার যাদব। রোহিতের সঙ্গে জুটি গড়ে অজি বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালাচ্ছেন তিনিও। আর তাতেই রান পাহাড়ের পথে হাঁটছে ভারত। যা স্বপ্ন দেখাচ্ছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানকে।

কেননা, ম্যাচের ফলের ওপরই যে নির্ভর করছে আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের সেমিতে খেলার ভাগ্য। এই ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে জয় পেলে কার্যত বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচটি পরিণত হবে নিয়মরক্ষার ম্যাচে। তাই সবার চোখ থাকছে এই ম্যাচের দিকেই।

সম্পর্কিত খবর