ডিএলএস পদ্ধতির জনক আর নেই
এই তো গতকাল, বাংলাদেশ তখন আফগানিস্তানের বিপক্ষে লড়ছে। একটু পরপর বৃষ্টি বাগড়া দিচ্ছে ম্যাচে। এতবারই হলো যে, ডিএলএস পদ্ধতিতেই শেষমেশ ম্যাচের দফারফা হলো। সেই পদ্ধতির উদ্ভাবনটা হয়েছিল যে দুজনের হাত ধরে, তাদের একজন ফ্র্যাঙ্ক ডাকওয়ার্থ আর নেই। ৮৪ বছর বয়সে মারা গেছেন তিনি।
ক্রিকেট মূলত পরিসংখ্যানের খেলা। বৃষ্টি এলে খেলার হিসেবে গোলমাল লেগে যেত। তা সমাধানে আইসিসি যে নিয়ম মানত, তা নিয়েও অসন্তোষ ছিল। শেষমেশ ডাকওয়ার্থ ১৯৯২ সালে রয়্যাল স্ট্যাটিস্টিকাল সোসাইটির এক কনফারেন্সে একটি গবেষণাপত্র ছাপান, তার নাম ছিল ‘অ্যা ফেয়ার রেজাল্ট ইন ফাউল ওয়েদার’।
তার এই কাজের অনুপ্রেরণা মূলত ১৯৯২ বিশ্বকাপের দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার সেমিফাইনালটা। সে ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ১৩ বলে ২২ রানের লক্ষ্য ছিল শেষ দিকে। এরপর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ায় ১ বলে ২২ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। তা দেখেই একটা ন্যায্য ফলাফলের জন্য কাজ করতে থাকেন ডাকওয়ার্থ।
এই গবেষণার পর টনি লুইসের সঙ্গে মিলে পদ্ধতিটায় আরও কিছু পরিবর্তন আনা হয়। এই পদ্ধতিটা ১৯৯৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে প্রয়োগ করা হয়। সে বছরই আইসিসি এই পদ্ধতি মেনে নেয়। এই পদ্ধতিতে বেশ কিছু দিন আগে আরও কিছু পরিবর্তন এনেছেন অস্ট্রেলিয়ান পরিসংখ্যানবিদ স্টিভেন স্টার্ন। যার ফলে এই পদ্ধতি ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতি হিসেবে পরিচিত হয় এখন।
পদ্ধতিটির জনক ডাকওয়ার্থ না ফেরার দেশে চলে গেলেন। তার মৃত্যুতে রয়্যাল স্ট্যাটিস্টিকাল সোসাইটি এক বিবৃতিতে শোক জানিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘ফ্র্যাঙ্ককে আমরা আমাদের এই পরিমণ্ডলে আরএসএস নিউজের সম্পাদক হিসেবে তার অবদানের জন্য মনে রাখব। আর ক্রিকেট তাকে মনে রাখবে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতির সহ-উদ্ভাবক হিসেবে।’