ফাইনালে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে দেখছেন নাসের হুসেইন
সুপার এইটের লড়াই শেষ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম এই আসরে বাকি আর তিনটি ম্যাচ, দুটি সেমি ও ফাইনাল। অনেকটা চমক দিয়েই গতকাল বাংলাদেশকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের সেমিতে পৌঁছেছে আফগানিস্তান। বাকি তিন দল ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত।
প্রথম সেমিতে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে নামবে আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এদিকে একইদিনে রাত ৮টা ৩০ মিনিটে ফাইনালের দ্বিতীয় টিকিটের লড়াইয়ে নামবে ইংল্যান্ড ও ভারত।
সেমিতে একের পর এক হেরে ‘চোকার্স’ তকমাটা আরও আগেই পেয়েছে প্রোটিয়ারা। ১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর আইসিসির আরও ১০ ইভেন্টের সেমিতে পৌঁছেছিল তারা। তবে জেতেনি একবারও। তবে তারা ২৬ বছরের সেই খরা এবার কাটিয়ে ফেলবে বলে আশা রাখছেন ইংল্যান্ডের সাবেক তারকা ক্রিকেটার নাসের হুসেইন। সঙ্গে ফাইনালে নিজ দেশকেই রাখলেন তিনি।
গ্রুপপর্বটা খেলার চেয়ে অনেকটা সমীকরণ মিলিয়েই পার করতে হয়েছে আগের আসরের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে। পরে সুপার এইটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরে সেমির রাস্তা করে ফেলছিল বেশ কঠিন। তবে সবশেষ যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ১০ উইকেটের দাপুটে জয়ে নেট রান রেটের সব সমীকরণ উড়িয়ে গ্রুপ রানার্স-আপ হয়ে সেমিতে উঠে যায় জশ বাটলারের দল।
তবে এবার ফাইনালে ওঠার লড়াইটা তাদের মোটেও সহজ হবার নয়। প্রতিপক্ষ ভারত, যারা আসরে এখন পর্যন্ত কোনো ম্যাচেই হারেনি, ব্যাটে-বলেও আছে দারুণ ছন্দে। তবে এই ভারতকে ইংলিশরা ভয় পায় না বলে ধারণা নাসেরের। ইংল্যান্ডকে ফাইনালে দেখা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার বাজি দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের পক্ষে। অ্যাডিলেইডের সেই সেমির স্মৃতিকে সঙ্গী করেই নামবে ইংল্যান্ড। আমার মনে হয় না, এই ইংল্যান্ড দল ভারতকে ভয় পায়।’
অ্যাডিলেইডে সেই স্মৃতিকে অবশ্য মনে করতে বাধ্য ভারতও। কেননা এর আগে ২০২২ আসরে অ্যাডিলেইডে ঠিক দ্বিতীয় সেমিতেই মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড ও ভারত। সেখানে রোহিতদের দেওয়া ১৬৯ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ১৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়েছিল তুলে ফেলেছিল ইংলিশরা।
তবে পিচ যদি ধীরগতির হয় সেক্ষেত্রে ভারতকে এগিয়ে রাখলেন নাসের। কারণ এই উইকেটে ভারতের ব্যাটাররা বেশি কার্যকরী সঙ্গে তাদের স্পিন বিভাগও বেশ শক্তিশালী। ‘পিচ যদি মন্থর হয়, তাহলে তাদের (ইংল্যান্ড) ব্যাটিং কিছুটা নড়বড়ে এবং সেক্ষেত্রে ম্যাচ ভারতের পক্ষে থাকবে।’