আফগানদের ৫৬, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমির ইতিহাসে সর্বনিম্ন সংগ্রহ
নিজেদের স্বপ্নের প্রথম সেমিতেই আফগানদের স্বপ্নভঙ্গ! টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমি-ফাইনালের প্রথম ইনিংস শেষে আপাতত এই লাইনটাই চলে আসে। দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ৫৬ রানেই অলআউট আফগানিস্তান। এতে প্রথমবারের মতো সেমিতে খেলতে এসেই স্বপ্নভঙ্গ হতে চলেছে রশিদ-নবীদের। আর ১২০ বলে ৫৭ রান করলেই ‘চোকার্স’ তকমাকে বিদায় করে ফাইনালে উঠে যাবে প্রোটিয়ারা।
আফগানদের এই ৫৬ রানের সংগ্রহ কেবল আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বনিম্ন সংগ্রহ নয়, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালের ইতিহাসেও সর্বনিম্ন সংগ্রহ। প্রথমবারের মতো সেমিতে খেলতে এসে এই দুই অঙ্গনেই লজ্জার রেকর্ডে ডুবল এশিয়ার দলটি।
এর আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আফগানদের সর্বনিম্ন সংগ্রহ ছিল ৭২ রান। সেটিও অবশ্য বিশ্বকাপের মঞ্চেই। পুরো এক দশক আগে ২০১৪ আসরে স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে গ্রুপপর্বের ম্যাচে ৭২ রানে অলআউট হয়েছিল তৎকালের মোহাম্মদ নবীর নেতৃত্বাধীন দলটি। পরে সেই ম্যাচটি ৯ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ।
এদিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিতে এর আগে দলীয় তিন অঙ্কের নিচে সংগ্রহ পেয়েছিল না কোনো দলই। এর আগে ২০০৯ ইংল্যান্ড আসরের দ্বিতীয় সেমিতে শ্রীলঙ্কার দেওয়া ১৫৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১০১ রানে অলআউট হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বিশ্বকাপের নবম এই আসরের প্রথম সেমিতে ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামে আফগানরা। সেখানে প্রোটিয়া পেসারদের তোপে মোটে ১১ ওভার ৫ বল টিকতে পারে গুরবাজ-ইব্রাহিমরা এবং স্কোরবোর্ডে ওঠে ৫৬ রান। ১১ ব্যাটারের মধ্যে দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছেন কেবল আজমতউল্লাহ ওমরজাই। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৫ ওভার শেষে ১ উইকেটে হারিয়ে ২৬ রান তুলেছে প্রোটিয়ারা।
চলতি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত অপরাজিত আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেমির আগে গ্রুপপর্ব ও সুপার এইট মিলিয়ে তারা জিতেছে ৭টি ম্যাচই।