‘অপেক্ষায় যাদের চুল পেকেছে জয়টা তাদের’
১৯৯৮ সালে সবশেষ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এখন পর্যন্ত ক্রিকেটে সেটিই প্রোটিয়াদের সবচেয়ে বড় অর্জন। এরপর লম্বা সময় ফেভারিট হিসেবে বিশ্বকাপের আসর শুরু করলেও কখনোই সেমিফাইনালের বাধা টপকে ফাইনালে পা রাখতে পারেনি প্রোটিয়ারা। শন পোলক, গ্রেইম স্মিথ, এবি ডি ভিলিয়ার্স ও ফাফ ডু প্লেসিরা বিশ্বকাপে স্বপ্নভঙ্গের হতাশা নিয়ে চোখের জলে মাঠ ছেড়েছেন।
তবে এইডেন মার্করামের দল সেটি করেনি। সেমিফাইনালে রীতিমতো প্রতিপক্ষ আফগানিস্তানকে নিয়ে ছেলেখেলা করে পা রেখেছে ফাইনালে। গা থেকে ঝেড়ে ফেলেছে চোকার্স তকমাটা। এমন জয়টাকে তাই বিশেষ হিসেবেই দেখছেন মার্করাম। সঙ্গে জয়টা সেই সব প্রোটিয়াদেরকে উপহার হিসেবে দিয়েছেন মার্করাম। যারা প্রোটিয়াদের ফাইনালে দেখার অপেক্ষা করতে করতে চুল পাকিয়ে ফেলেছে।
আফগানদের হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে পা রেখে নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে মার্করাম বলেন, ‘ভালো লাগছে। এটা দারুণ দলীয় প্রচেষ্টা। টস হেরে সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। কারণ আমরাও আগে ব্যাট করতাম। এমন কন্ডিশনে বোলাররা আলাদা কিছুই করেনি। ঠিক জায়গায় বল করে গেছে। ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা কঠিন হলেও আমরা জানতাম, একটি জুটি গড়তে পারলেই হবে।’
সেমিফাইনালের আগেও প্রোটিয়াদের ফাইনালে উঠা নিয়ে শঙ্কা ছিল স্বয়ং প্রোটিয়াদের সাবেক অধিনায়ক গ্রেইম স্মিথের। এক্সে এক পোস্টে তিনি লিখেন, আমি কি ফাইনাল দেখতে বিমানের টিকিট কাটব? তার মতো প্রোটিয়াদের সেমিফাইনাল নিয়ে শঙ্কা ছিল অনেকের মাঝেই। তবে এই জয়টা তাদেরকেই উপহার দিয়েছেন মার্করাম।
ম্যাচ শেষে মার্করাম বলেন, ‘আমাদের অনেকেই আছেন অপেক্ষায় যাদের চুল পেকেছে। এ জয় তাদের মনে অনেকখানি তৃপ্তি এনে দেবে। আমরা এর আগে কখনো ফাইনালে উঠিনি। কিন্তু আমাদের বিশ্বাস ছিল। এই বিশ্বাসটাই আমাদের পুরো দলকে এক করেছিল, ভালো ক্রিকেট খেলতে অনুপ্রাণিত করেছিল।’