১০ বছর পর ফাইনালে ভারত

১০ বছর পর ফাইনালে ভারত

আরও একটা একপেশে সেমিফাইনাল!
এবারের বিশ্বকাপের প্রায় পুরোটাই কেটেছে বেশ রোমাঞ্চ নিয়ে। তারপর দুটো সেমিফাইনাল ঠিক সে লড়াইগুলোর প্রতি সুবিচার করতে পারল না। প্রথম সেমিফাইনালে ৫৬ রানে অলআউট হয়ে আফগানিস্তান হেরেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতও রীতিমতো গুঁড়িয়েই দিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে, ভারতের ১৭১ রানের জবাবে ইংল্যান্ড অলআউট ১০৩ রান তুলেই! ৬৮ রানের বিশাল এক জয় নিয়ে ভারত ১০ বছর পর চলে গেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে।

অথচ বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচটা হবে কি না, তা নিয়েও ছিল সন্দেহ। গায়ানায় ম্যাচটা যদি না হতো, তাহলেও ভারতই ফাইনালে খেলত সুপার এইটে শ্রেয়তর অবস্থানের কারণে। বৃষ্টির বাগড়া ছিল না একেবারেই, তা বলার উপায় নেই। তবে ভারত খেলেই চলে গেছে ফাইনালে। 

ম্যাচটা ভারতের জন্য প্রতিশোধের মঞ্চও ছিল বৈকি! ২০২২ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ১০ উইকেটে হেরেছিল ইংলিশদের কাছে। তার শোধই আজ আরও এক সেমিফাইনালের মঞ্চে ৬৮ রানের জয় দিয়ে তুলল ভারত। 

২০২২ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের পুঁজিটা ছিল ১৬৯ রানের। আজ সেটা বেড়ে দাঁড়াল ১৭১ এ। বিরাট কোহলি দ্রুত ফিরলেও রোহিত শর্মার ফিফটি আর সূর্যকুমার যাদবের ৪৭ রানের ইনিংসে ভর করে বড় রানের ভিত পেয়ে যায় ভারত। শেষ দিকে হার্দিক পান্ডিয়ার ১৩ বলে ২৩, রবীন্দ্র জাদেজার ৯ বলে ১৭ আর অক্ষর পাটেলের ৬ বলে ১০ রানের ইনিংসে ভর করে ভারত ৭ উইকেট খুইয়ে তোলে ১৭১ রান।

জবাবে ইংলিশদের শুরুটা হয়েছিল ভালো। ৩ ওভারেই তুলে ফেলেছিল ২৬ রান। তবে এরপর অক্ষর পাটেল ফেরালেন জস বাটলারকে। এরপর থেকেই উল্টো যাত্রা শুরু দলটার। যশপ্রীত বুমরাহ দ্বিতীয় সাফল্যটা এনে দিয়েছেন ভারতকে, তিনি ফিরিয়েছেন ওপেনার ফিল সল্টকে। 

পরের গল্পটা স্রেফ ভারতীয় স্পিনের বিপক্ষে ইংলিশ ব্যাটিং লাইন আপের হাঁসফাঁসের। শুরুতে অক্ষর, এরপর কুলদীপ যাদব। এই দুই স্পিনারের বলেরই কোনো জবাব দিতে পারেনি ইংলিশরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট খোয়াতে থাকে। শেষমেশ অলআউট হয় ১০৩ রান তুলে। তাতে গেল বারের চ্যাম্পিয়নদের যাত্রা এবার শেষ হয় সেমিফাইনালে। আর ওদিকে ভারত ১০ বছর পর চলে যায় বিশ্বকাপের ফাইনালে। 

সম্পর্কিত খবর