শুরুর ধাক্কা সামলে বাংলাদেশকেই চাপে ফেলছে ডাচরা
শুরুটা কি ঝলমলেই না হয়েছিল বাংলাদেশের! ৪ রান তুলতেই নেদারল্যান্ডসের ছিল না দুই উইকেট। তাতে মনে হচ্ছিল, অল্পে বেঁধে রেখে ডাচদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে নেট রান রেটটাও বুঝি ভদ্রস্থ করে ফেলার সুযোগ চলে আসছে! তবে সে ভাবনাটা উড়ে গেল ডাচদের তৃতীয় উইকেট জুটিতে। কলিন অ্যাকারম্যান আর ওয়েসলি বারেসি মিলে জুটি বেঁধে দলকে উদ্ধার করলেন, এরপর চাপটা ফিরিয়ে দিলেন উল্টো বাংলাদেশকেই!
সাকিব আল হাসান চোট কাটিয়ে ফেরার পর টস জেতেননি দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে। জিতলেন না আজও। টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ডাচ অধিনায়ক স্কট অ্যাডওয়ার্ডস।
সে সিদ্ধান্তটাকে ভুলই প্রমাণ করছিলেন শরিফুল ইসলাম আর তাসকিন আহমেদ মিলে। দ্বিতীয় ওভারেই তাসকিন ফেরালেন বিক্রমজিত সিংকে। পরের ওভারে শরিফুল সাজঘরের পথ দেখান আরেক ওপেনার ম্যাক্স ও'ডাউডকেও। ৪ রান তোলার পরই দুই উইকেট খুইয়ে বসে ডাচরা।
টপ অর্ডার থেকে ডাচরা চলতি বিশ্বকাপে সাহায্য পাচ্ছে না তেমন। শীর্ষ তিন ব্যাটার মিলে মোট রানের ৩১ শতাংশ কেবল করেছেন এবারের আসরে। তবে ডাচ মিডল অর্ডার আবার বেশ শক্তপোক্ত। এবারের বিশ্বকাপে তারা যে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে, সেটাও তো এই মিডল অর্ডারের জোরে।
সে জোরটাই এখন দেখিয়ে চলেছেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার কলিন অ্যাকারম্যান আর বারেসি মিলে। দুই ব্যাটার মিলে তৃতীয় উইকেটে যোগ করে ফেলেছেন ৫০ রান। তাতে পাওয়ারপ্লেটা নেহায়েত মন্দ কাটল না নেদারল্যান্ডসের। উল্টো শুরুতে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে দেওয়া বাংলাদেশই বরং কিছুটা চাপে পড়ে গেল পাওয়ারপ্লে শেষ হতে হতে।