‘বিশ্বকে বুঝিয়ে দিয়েছি আমাদের ডিফ্রেন্ট এবিলিটি আছে’
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের যাত্রাটা এবার শেষ হয়েছে সুপার এইটে। দলের ব্যাটিং পারফর্ম্যান্স পুরো বিশ্বকাপজুড়েই ছিল বেশ বাজে। তবে বোলিং দলের সে ঘাটতিটা পুষিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ সহ-অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ জানালেন, বোলাররা একটা বার্তাও দিয়েছেন বিশ্বকে।
শেষ অনেক বছর ধরেই বোলিংই বাংলাদেশের মূল শক্তি। বিশেষ করে পেস আক্রমণ ২০১৯ থেকে ২০২৩ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বিশ্বের দ্বিতীয় সেরার কাতারেও ছিল।
সে ধারাটা এবারের বিশ্বকাপেও ধরে রেখেছে বাংলাদেশের বোলিং ইউনিট। এবারের বিশ্বকাপে যে দলটা খেলেছে সুপার এইটে, তাতে সিংহভাগ কৃতিত্ব যাবে বোলারদের দখলে।
তবে তাসকিন আহমেদ জানালেন, এখানেই তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছেন না তিনি। আরও ভালো পারফর্ম্যান্স চান ইউনিটের কাছ থেকে। তার ভাষ্য, ‘বোলিং ইউনিট শেষ কয়েক বছর ধরেই ভালো করে আসছে। আল্লাহর রহমতে সে ধারাবাহিকতাটা ধরে রাখছে ইউনিটটা। সামনে আরও ভালো হবে, ভালোর তো কোনো শেষ নেই।’
বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব তো বটেই, সুপার এইটেও দারুণ বোলিং করেছে বোলিং ইউনিট। বিশেষ করে তানজিম হাসান সাকিব আর রিশাদ হোসেনরা তো ছিলেন সেরা পাঁচের ভেতরই। নেপালের বিপক্ষে ম্যাচে সাকিব করেছেন রেকর্ডও, যদিও সবচেয়ে বেশি ডট দেওয়ার রেকর্ডটা এক দিনও টেকেনি।
তবে এতে করে বাংলাদেশের বোলিং ইউনিট বিশ্বকে একটা বার্তা দিয়েছে বলে মনে করেন তাসকিন। তার কথা, ‘তানজিম সাকিব, রিশাদ এরা সেরা পাঁচের মধ্যে ছিল। এখনও আছে। ওভারল ভালো করেছে মাশাল্লাহ। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ তারকারা উঠে এসেছে, এটা একটা ইতিবাচক দিক। ইতোমধ্যেই বিশ্বকে বুঝিয়ে দিয়েছি যে আমাদের সবার ভেতর আলাদা সক্ষমতা আছে।’