সিনিয়রদের অফফর্ম দলকে ভুগিয়েছে

সিনিয়রদের অফফর্ম দলকে ভুগিয়েছে

বাংলাদেশ বিশ্বকাপে সময়টা কাটিয়েছে ভালো মন্দের মিশেলে। তবে এবারের এই বিশ্বকাপে যা সাফল্য এসেছে, তার সিংহভাগই এসেছে তরুণদের হাত ধরে। দুই সিনিয়র ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দুজনেই ব্যাট হাতে প্রায় ম্লানই ছিলেন। তাদের অফফর্ম দলকে ভুগিয়েছে বলেই জানালেন বাংলাদেশ সহ-অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ।

এবারের বিশ্বকাপে সাকিব একটা ম্যাচে ম্যাচসেরা হয়েছেন বটে। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৬৪* রানের ওই ইনিংস বাদে এবারের আসরে তেমন পারফর্ম করতে পারেননি তিনি। সব মিলিয়ে তিনি রান করেছেন ১১১, স্ট্রাইক রেট মোটে ১০৭ ছুঁইছুঁই।

এরপর আসুন বল হাতে তার পারফর্ম্যান্সে। বোলিংটা তার সহজাতই ছিল। যে কারণে ব্যাট হাতে খারাপ সময় গেলেও বল হাতে বড় সময় ধরে এভাবে অফ ফর্মে কখনোই থাকেননি সাকিব। সেই বোলিংও এবার তার ঝুলিতে সাফল্য এনে দিচ্ছে না। ৭ ম্যাচের ৬টিতে বোলিং করে তিনি পেয়েছেন মোটে ৩ উইকেট। গড় সবচেয়ে বাজে তার, ইকনমির দিক থেকেও শেষের দিক থেকে দ্বিতীয় তিনি। 

এবার আসুন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের প্রসঙ্গে। সাত ম্যাচ মিলিয়ে ১০০ রানও করতে পারেননি তিনি, সর্বোচ্চ ইনিংসটা ২৫ রানের। আফগানিস্তান ম্যাচে ১৯ বলে ৪৩ রান প্রয়োজন, এমন মুহূর্তে নুর আহমেদের এক ওভারে পাঁচটা ডট বল দিয়েই মূলত তিনি ‘অপরাধী’ বনে গেছেন জনতার চোখে।

তাদের এমন অফ ফর্ম দলকে ভুগিয়েছে বেশ। স্বীকার করে নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। তার কথা, ‘অবশ্যই দুইজন সিনিয়র ক্রিকেটারদের অফফর্ম আমাদের দলে প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু মাঠের বাইরে কোনো প্রভাব ফেলেনি, কারণ মাঠের বাইরে তারা বেশ ভালো টিম ম্যান। ৪৭ দিন একসঙ্গে ছিলাম, সবার ব্যবহার খুব ভালো ছিল। অফ দ্য ফিল্ডে সব ঠিকই ছিল, কিন্তু আসলে দলের মূল খেলোয়াড়রা অফ ফর্মে থাকলে সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক। আশা করছি দ্রুত এসব কাটিয়ে উঠে সামনে ভালো কিছু করব।’

সম্পর্কিত খবর