ডাচদের লাগাম টেনে ধরেছে বাংলাদেশ
কলিন অ্যাকারম্যান আর ওয়েসলি বারেসি মিলে পালটা আক্রমণে বাংলাদেশকে চাপেই ফেলে দিয়েছিলেন কিছুটা। ৬৬ বলে দুজনের ৫৯ রানের জুটি আশা দেখাচ্ছিল নেদারল্যান্ডসকে। তবে ছয় বলের এদিক ওদিকে দুজনকেই ফিরিয়ে ডাচদের লাগাম টেনে ধরেছেন সাকিব আল হাসানরা।
অ্যাকারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে পালটা আক্রমণে নেতৃত্বটা দিচ্ছিলেন বারেসি। ৪১ বলে করেছিলেন ৪১ রান। তাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রুটা এনে দেন মুস্তাফিজুর রহমান। ইনিংসের ১৪তম ওভারে আক্রমণে আসা মুস্তাফিজের স্লোয়ার ঠিকঠাক পড়তে পারেননি বারেসি। স্লটে পেয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়েছিলেন, তা তো পারেনইনি, উল্টো ক্যাচ দেন শর্ট কভারে থাকা সাকিবের হাতে।
তার ঠিক পরের ওভারে হলো তার উল্টোটা। সাকিবের বলে ক্যাচ নেন মুস্তাফিজ। জুটির অন্য ব্যাটার অ্যাকারম্যান সাকিবের লেগ স্টাম্পের বাইরে ঝুলিয়ে দেওয়া বল করতে চেয়েছিলেন সুইপ। ব্যাটে বলে হয়নি ঠিকঠাক। বল গিয়ে জমা পড়ে শর্ট ফাইন লেগে থাকা মুস্তাফিজের হাতে।
তবে সুযোগ অবশ্য আরও এসেছিল বাংলাদেশের সামনে। ডাচ অধিনায়ক স্কট অ্যাডওয়ার্ডস তিন বলের এদিক ওদিকে দুবার তুলে দিয়েছিলেন ক্যাচ। দুবারই দুর্ভাগা বোলারের নাম মুস্তাফিজ। তার অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে থাকা লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন, সেটা লিটন তালুবন্দি করতে পারেননি। একটু পর আবারও ওই অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে অ্যাডওয়ার্ডস ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। তবে এবারও মুশফিকুর রহিম তা তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হন। যার ফলে পঞ্চম উইকেটের দেখা পেতে পেতেও পায়নি বাংলাদেশ। দুই ম্যাচ আগে এই স্কট অ্যাডওয়ার্ডসই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর পথটা গড়ে দিয়েছিলেন অপরাজিত ৭৮ রানের ইনিংস খেলে। রানের খাতা খোলার আগে তাকে দুবার ‘জীবন’ দিয়ে বাংলাদেশ বড় ভুলই করে বসল কি-না, দুশ্চিন্তাটা এখন এখানেই!
