বিশ্বকাপে প্রথমবার সুযোগ পেয়েই বাজিমাত রিশাদের
২৫ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার কোনো জেনুইন লেগ স্পিনার দলে খেলালো বাংলাদেশ। যার ফলও পাওয়া গেছে বেশ ভালোই। দীর্ঘদিন পর রিশাদ হোসেন আক্ষেপ মিটিয়েছেন একজন লেগ স্পিনারের অভাবের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষটা বাংলাদেশ হতাশা দিয়ে শেষ করলেও রিশাদ শেষ করেছেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় নিজের নামটা ওপরের দিকে রেখেই।
চলতি আসরে রিশাদ শিকার করেছেন ১৪ উইকেট। যেটা এবারের বিশ্বকাপে তৃতীয় সর্বোচ্চ। বাংলাদেশের তিন জয় এবং দলকে সুপার এইটে নিতেও তিনি পালন করেছেন অনেক বড় ভূমিকা। নেদারল্যান্ডস এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হুট করেই তিনি একাই ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন ম্যাচের গতি। নেপালের বিপক্ষে ব্যাট হাতেও রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। সবমিলিয়ে প্রায় সব ম্যাচেই রেখেছেন ইম্প্যাক্ট।
এবার তিনি পেতে শুরু করেছেন সেটার স্বীকৃতি। জায়গা করে নিয়েছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপের সেরা একাদশে। রশিদ খানের সাথে লেগ স্পিনার হিসেবে সেই একাদশে রিশাদের জায়গা করে নেওয়াটাও এমনি এমনি হয়নি। নিজের যোগ্যতা এবং পারফর্ম্যান্স করেই এই কীর্তি অর্জন করেছেন। প্রায় সব ম্যাচেই বাংলাদেশ দলের জন্য 'ইম্প্যাক্টফুল প্লেয়ার' হিসেবে ছিলেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২২ রানে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তুলে নিয়েছেন এক উইকেট। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৩৩ রানে তিন উইকেট এবং এক ওভারে জোড়া শিকারে দলের জয়ে টার্নিং পয়েন্ট ছিলেন তিনিই।
নেপালের বিপক্ষে উইকেট পাননি তবে ব্যাট হাতে খেলেছেন গুরুত্বপূর্ণ ক্যামিও ইনিংস। অজিদের বিপক্ষে দল হারলেও ২২ রানে নিয়েছেন দুই উইকেট। সমান উইকেট শিকার ভারতের বিপক্ষেও। সব শেষ ম্যাচে আফগানদের বিপক্ষে ২৬ রানে নেন তিন উইকেট। ১৩.৮৫ গড় আর ১০.৭১ স্ট্রাইক রেটের রিশাদকে তাই নিজেদের একাদশে না রেখে উপায়ও ছিল না ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার।