বাংলাদেশের জাতীয় রেকর্ডটা তো তার দখলে আগে থেকেই ছিল। দেশের দ্রুততম মানব ইমরানুর রহমান যেন নিজের সে রেকর্ডটাকে বারবার ভাঙার পণ করে বসেছেন। আগেও একবার ভেঙেছিলেন জাতীয় রেকর্ড। লন্ডনের কুইন এলিজাবেথ পার্কে বিশ্ব অ্যাথলেটিকস স্বীকৃত এক প্রতিযোগিতায় ১০০ মিটার দৌড় শেষ করেছেন মোটে ১০.১১ সেকেন্ডে। তাতে নিজের সেরা টাইমিং নিয়ে জাতীয় রেকর্ড নতুন করে লেখা হয়ে গেছে ইমরানের।

গত বছর ইমরান রেকর্ডটাকে বশে এনেছিলেন ১০.২৯ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করে। সে রেকর্ডটা অবশ্য বেশি দিন টেকেনি। চলতি বছর ইমরানুর নিজের রেকর্ডটাই ভেঙে দেন। এশিয়া অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপের ১০০ মিটার স্প্রিন্ট শেষ করেন ১০.২৫ টাইমিং নিয়ে। থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্ককে গড়া সেই রেকর্ড দেড় মাসও টিকল না। এবার লন্ডনে ভেঙে দিলেন সেই রেকর্ডটাকে। নিজেকেই যেন ছাড়িয়ে যাওয়ার মিশনে নেমেছেন বাংলাদেশের দ্রুততম মানব।

এটিকে জাতীয় রেকর্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন। সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু জানান, ‘ইংল্যান্ডের এই প্রতিযোগিতাকে বিশ্ব অ্যাথলেটিকস স্বীকৃতি দেয়। তাই ১০.১১ সেকেন্ড টাইমিংটা ১০০ মিটারে জাতীয় রেকর্ড হিসেবে ধরা হবে। সঙ্গে সঙ্গে এটাই ইমরানের ব্যক্তিগত সেরা টাইমিং হিসেবে বৈশ্বিক সব আসরে দেখানো হবে।’ জাতীয় রেকর্ডের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়ে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন প্রেস বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে।

চলতি মাসের শেষ দিকে চীনের হাংজুতে এশিয়ান গেমসের আসর বসবে। সেখানে অ্যাথলেটিকসের সবেধন নীলমণি হিসেবে দৌড়োবেন ইমরানুর। সেই আসরের আগে লন্ডনে তার পারফরম্যান্স আশাজাগানিয়া। এই টাইমিং ধরে রাখতে পারলে এশিয়ান গেমসের ফাইনালে খেলা অসম্ভব নয় মোটেও।

১০.১১ অবশ্য ইমরানের সেরা টাইমিং নয়। গত বছর অনুষ্ঠিত ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে তিনি দৌড়েছিলেন ১০.০১ সেকেন্ডে। তবে ইসলামিক গেমসের সেই টাইমিং বিশ্ব অ্যাথলেটিকস থেকে স্বীকৃতি পায় না। সে কারণে তা জাতীয় রেকর্ডও হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি।