বাংলাদেশকে ২৩০ রানের চ্যালেঞ্জ ডাচদের
শুরুটা বলছিল, বাংলাদেশ বুঝি ম্যাচটায় দারুণ দাপটই দেখাবে ডাচদের ওপর! কিছুটা হয়েছেও বৈকি। কিন্তু ডাচরাও ছেড়ে কথা বলেনি। অলআউট হয়েছে বটে, কিন্তু তার আগে স্কোরবোর্ডে জমা করেছে ২২৯ রান। তাতে বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জটা দাঁড়াল ফ্লাডলাইটের নিচে, মন্থর উইকেটে ২৩০ রান তাড়া করার।
টপ অর্ডার থেকে ডাচরা চলতি বিশ্বকাপে সাহায্য পাচ্ছে না তেমন। শীর্ষ তিন ব্যাটার মিলে মোট রানের ৩১ শতাংশ কেবল করেছেন এবারের আসরে। টসে হেরে বোলিংয়ে নেমে বাংলাদেশ নেয় তার সুযোগটাই। তাসকিন আহমেদ আর শরিফুল ইসলাম শুরুর তিন ওভারে ৪ রান দিয়ে নেন দুই উইকেট।
তবে ডাচ মিডল অর্ডার আবার বেশ শক্তপোক্ত। এবারের বিশ্বকাপে তারা যে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে, সেটাও তো এই মিডল অর্ডারের জোরে। সে জোরটা দেখা গেল আজও। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার কলিন অ্যাকারম্যান আর বারেসি মিলে তৃতীয় উইকেটে যোগ করেন ৫৯ রান। তবে ছয় বলের ব্যবধানে তাদের দুজনকেই তুলে নেয় বাংলাদেশ, আবারও চাপে পড়ে ডাচরা। চাপটা আরও বাড়ল ১০৭ রানে যখন হারাল নিজেদের পঞ্চম উইকেটটাও।
সেখান থেকে দলকে দুইশর কাছাকাছি নিয়ে যান অধিনায়ক স্কট অ্যাডওয়ার্ডস, শূন্য রানে দুবার জীবন পেয়ে তিনি খেলেন ৬৮ রানের ইনিংস। সঙ্গী হিসেবে পান সাইব্র্যান্ড অ্যাঙ্গেলব্রেখটকে। দুজনের ৭৮ রানের জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজ, এর তিন বল পর অ্যাঙ্গেলব্রেখটও ফিরলেন শেখ মাহেদির শিকার হয়ে।
দলীয় ১৯৪ রানে যখন শারিজ আহমেদ ফিরলেন রানআউট হয়ে, তখন মনে হচ্ছিল ২০০ বুঝি ছুঁতে পারবে না ডাচরা। তবে সেখান থেকে দলকে শেষমেশ ২২৯ রানের পুঁজি এনে দেন লোগান ফন বাইক, ১৬ বলে তার ২৩ রানের ক্যামিও ডাচদের এনে দেয় লড়াকু এক পুঁজি।
