সর্বোচ্চ উইকেট না পেয়েও টুর্নামেন্টসেরা বুমরাহ
১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দিয়েছে ৭ রানের শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে। অথচ, ১৫ ওভার শেষে এমন ম্যাচ জিততে পারে ভারত; এমনটা হয়তো কল্পনাও করেনি কেউ। তবে লড়াইটা চালিয়ে গেছে ভারতীয় বোলাররা। যেখানে বাকি বোলারদের নেতৃত্ব দিয়েছেন জাসপ্রিত বুমরাহ। দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ জিততে যখন প্রয়োজন ৩০ বলে ৩০ রান, হাতে ৬ উইকেট; তখন বোলিংয়ে এসে আশার আলো দেখান বুমরাহ। এরপর বাকিরাও তাকে অনুসরণ করলে ম্যাচটা ৭ রানে জেতে ভারত।
এমন ম্যাচে দলকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে বুমরাহ নিজেও পেয়েছেন টুর্নামেন্টসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার। ফাইনালে ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৮ রান খরচায় তার বুমরাহর শিকার ২। শুধু এই ম্যাচেই নয় পুরো আসরজুড়েই এমন পারফরম্যান্স করেছেন বুমরাহ। যে কারণেই মূলত সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার না হয়েও দলকে বিশ্বকাপ জেতাতে প্রধান ভূমিকা রাখার কারণে টুর্নামেন্টসেরা ক্রিকেটার হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে বুমরাহকে।
আসরে বুমরাহর উইকেট ১৫টি, অবস্থান তালিকার তিন নম্বরে। তার চেয়ে ২ উইকেট বেশি নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির বোলার ফজলহক ফারুকী ও অরশদীপ সিং। তাদের দু’জনেরই উইকেট সংখ্যা ১৭টি। অথচ, ২ উইকেট কম পাওয়া বুমরাহকে বেছে নেওয়া হয়েছে আসরসেরা ক্রিকেটার হিসেবে।
এমনটির কারণ ম্যাচে বুমরাহর প্রভাব। ম্যাচে মাত্র ৪.১৭ ইকনমিতে বল করেছেন বুমরাহ। উইকেট তুলেছেন প্রতি ৮.২৬ গড়ে। যা তাকে এগিয়ে রাখছে অন্য যে কারো থেকে। এমন পারফর্মারকে তাই আসরসেরা হিসেবে বেছে নিতে ভুল করেনি আইসিসি।
দলকে শিরোপা জিতিয়ে আসরসেরার পুরস্কার হাতে তুলে দারুণ খুশি বুমরাহ। টুর্নামেন্টসেরা হয়ে বুমরা বলেন, ‘পুরো টুর্নামেন্টে বল বাই বল চিন্তা করে এগিয়েছি। মাঝেমধ্যে আবেগও এসে দাঁড়িয়েছে, তবে সবকিছুর পর আমরা কাজটা সম্পন্ন করেছি৷ সঠিক লেংথে বল ফেলা এবং তার সঙ্গে রিভার্স সুইং, যার বাস্তবায়ন করতে পেরে আমি খুশি।’