সূর্যকুমারের ক্যাচ নিয়ে মুখ খুললেন মার্করাম

সূর্যকুমারের ক্যাচ নিয়ে মুখ খুললেন মার্করাম

প্রোটিয়াদের ‘প্রথম’ বিশ্বকাপ শিরোপার স্বপ্নভঙ্গ যেন সূর্যকুমারের ওই এক ক্যাচেই। শেষ ওভারে জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। স্ট্রাইকে ছিলেন ডেভিড মিলার। শেষ ওভারে হার্দিক পান্ডিয়ার প্রথম বলে সজোরে উড়িয়ে মারেন মিলার। তবে লং অফে বাউন্ডারিতে দু’বারের প্রচেষ্টায় অসাধারণ এক ক্যাচ নেন স্কাই। শেষ পর্যন্ত বাকি পাঁচ বলে তারা তোলে ৮ রান ৭ রানে জিতে শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে রোহিত-কোহলিরা। 

স্কাইয়ের সেই ক্যাচটা এখনো সেভাবে বিতর্ক না এলেও একসময় এমনটাই ধারণা করা হচ্ছিল। কেননা বাউন্ডারি লাইন একদম ঘেঁষে ক্যাচটি নেন সূর্যকুমার। সেই ক্যাচেই যে ভারতের জয় অনেকটা নিশ্চিত করে দিয়েছিল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

এদিকে ক্যাচটির রিপ্লে কিছুটা দ্রুতই দেখছে অফ-ফিল্ড আম্পায়াররা। অবশ্য এটিকে বিতর্কিত কিছু ভাবছেন না প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করাম।

সেই ক্যাচ নিয়ে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন উঠলে মার্করাম যে কথা বলেন, তা নিয়ে উত্তাল হতেই পারে ক্রিকেটাঙ্গন। তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমি এটা এখনও দেখিনি। দেখতে পারিনি। তবে হ্যাঁ, রিপ্লে একটু দ্রুতই হয়েছে। অবশ্যই তারা নিশ্চিত ছিল যে এটা আউট। এই কারণেই রিপ্লে হয়তো দ্রুত দেখেছে।’

সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নটি ছিল, আম্পায়ারা কি আরেকটু সময় নিয়ে রিপ্লে দেখতে পারতেন কি-না। তবে মার্করামের মনে এই নিয়ে আর কোনো সংশয় নতুন করে তৈরি হয়নি। তার মতে, বিষয়টি স্বাভাবিক এক সিদ্ধান্তই ছিল।

শেষ ওভারে ম্যাচ জিততে দক্ষিণ আফ্রিকার তখন প্রয়োজন ১৬ রান। ব্যাটিংয়ে আছেন ‘কিলার’ খ্যাত মিলার। হার্দিককে প্রথম বলে উড়িয়েও মেরেছিলেন মিলার। তবে সেটি সীমানা দড়ি পেরোইনি। লং অফে উড়িয়ে মারা শটটি সীমানা দড়ির খুব কাছ থেকে ধরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বল ছেড়ে দিয়ে মাঠের বাইরে চলে যান সূর্য। পরে শরীর নিয়ন্ত্রণে এনে ফের মাঠে ঢুকে বলটি ধরেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে আঙুল উঁচিয়ে দেখান আউটের সিগনাল। খালি চোখে এই ক্যাচ নিয়ে বিতর্কের সুযোগ খুব কমই।

তবে বিতর্কের সুযোগটা করে দিয়েছে আইসিসি। কেননা, রিপ্লে পরীক্ষা করে মিলারকে আউটের সিদ্ধান্ত জানানোর আগে যথেষ্ট সময় নেননি আম্পায়ার। আউট দেওয়ার সময় সীমানা দড়ির দিক থেকে দেখানো হয়নি ক্যামেরার অ্যাঙ্গেল। যা নিয়ে ভক্ত মনে তৈরি হয়েছে সংশয়। তাছাড়া রিপ্লেতে সীমানা দড়িটিও কিছুটা সরে গেছে বলে দেখা যাচ্ছিল। যা এই আউট নিয়ে বিতর্ক আরও উসকে দিচ্ছে।

সম্পর্কিত খবর