টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন যারা

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন যারা

ভারতের বিশ্বকাপ জয়ে জসপ্রিত বুমরাহ রেখেছেন মহাগুরুত্বপূর্ণ অবদান। দলকে ফাইনালে জিতিয়েছেন, টুর্নামেটে ১৫ উইকেট নিয়েছেন, অবাক করা বিষয় মাত্র ৪.১৭ ইকোনমিতে বল করেছেন, গড় ছিলো ৮.২৬। প্রতি ১১.৮৬ বলে নিয়েছেন একটা করে উইকেট; ইম্প্যাক্ট রেখেছেন সব জয়ে। তাইতো টুর্নামেন্ট সেরা হলেন এই পেসার।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম আসরে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছিলেন পাকিস্তানের অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি। সে আসরে ব্যাট হাতে ৬ ইনিংসে ৯১ রানের পাশাপাশি বল হাতে ৭ ইনিংসে ১২ উইকেট। যদিও দল হয়েছিলো রানার্সআপ।

ইংল্যান্ডে ২০০৯ সালে ৭ ইনিংসে প্রায় ৫৩ গড়ে ৩১৭ রান করে এই পুরস্কার জুটে লঙ্কান ওপেনার তিলকারত্নে দিলশানের। যদিও দল হয়েছিলো রানার্সআপ।

২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আসরে এই পুরস্কার জেতেন, কেভিন পিটারসেন। ৬ ইনিংসে ৬২ গড়ে করেন ২৪৮ রান। বড় ব্যাপার দল জিতেছিলো শিরোপা। ৩১ বলে ৪৭ করে ভূমিকা রেখেছিলেন ফাইনাল জয়ে।

২০১২ সালে শ্রীলঙ্কায় ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হন শেন ওয়াটসন। বল হাতে ছয় ইনিংসে ১১ উইকেট। ব্যাট হাতে ৬ ইনিংসে প্রায় ৫০ গড়ে ২৪৯ রান। একেবারে পারফেক্ট অলরাউন্ড পারফর্ম্যান্স।

২০১৪ সালে এই পুরস্কার জেতেন বিরাট কোহলি। ৬ ইনিংসে করেন ৩১৯ রান। সেবার ব্যাট করেছিলেন ১০৭ গড়ে। যদিও সেবার বাংলাদেশের মাটিতে রানার্সআপ হয় ভারত।

২০১৬ তেও প্রথমবারের এই পুরস্কার দুইবার জেতার কীর্তি গড়েন ভিরাট কোহলি। বল হাতে এক উইকেটের পাশাপাশি ৫ ইনিংসে করেন ২৭৩ রান, গড় ছিলো ১৩৬.৫০। ভিরাট অনবদ্য খেললেও ঘরের মাঠে দল বিদায় নেয় সেমি থেকে।

২০২১ সালে আরব আমিরাত আর ওমানের বিশ্বকাপে ৭ ইনিংসে ২৮৯ রান করে দলকে শিরোপা জিতিয়ে টুর্নামেন্ট সেরার খেতাব জেতেন ডেভিড ওয়ার্নার।

২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়াতে রানের চাইতেও বেশি উইকেট শিকার করে এই পুরস্কার জেতেন ইংলিশ অলরাউন্ডার স্যাম কারেন। বল হাতে ৬ ইনিংসে ১১.৩৬ গড়ে শিকার করেন ১৩ উইকেট। এক ম্যাচ শিকার করেছিলেন ১০ রানে ৫ উইকেট। ব্যাট হাতে দুই ইনিংসে ১২ গড়ে ১২ রান। ইংলিশরা জিতেছিলো এই ফরম্যাটের দ্বিতীয় শিরোপা।

সম্পর্কিত খবর