হতাশ করলেন সাকিব-মুশফিকও, হারের দুয়ারে বাংলাদেশ
লক্ষ্যটা সহজ ছিল না। বাজে শুরুর পর কাজটা কঠিনই হয়ে গিয়েছিল দলের। তাতে দায়িত্বটা এসে পড়েছিল সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমদের কাঁধে। কিন্তু তারাও আর তা পালন করতে পারলেন কই? ফিরলেন দুই অঙ্কে যাওয়ার আগেই, ৭০ রানে ৬ উইকেট খোয়াল দল। আর তাতেই নেদারল্যান্ডসের ২৩০ রানের লক্ষ্যটা এখন রীতিমতো এভারেস্টসম লাগছে বাংলাদেশের সামনে।
বাংলাদেশের বিপদের শুরুটা হয় লিটন দাসের বিদায়ে। আরিয়ান দত্তের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন লিটন। এরপর লোগান ফন বাইকের শিকার হন তানজিদ হাসান তামিম। তাও আবার লিটনের মতো একই ঢঙে, উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে।
তবে এরপর তিনে নামা মেহেদি হাসান মিরাজ আর চারে নামা শান্ত পাওয়ারপ্লেতে আর কোনো ভুলচুক হতে দেননি। ভুলটা হলো পাওয়ারপ্লে শেষে। পল ফন মিকারেনের অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন শান্ত। ৪৫ রানেই তাই তিন উইকেট খুইয়ে বসে বাংলাদেশ।
এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে বড় জুটি প্রয়োজন ছিল সাকিব আর মেহেদি হাসান মিরাজের কাছ থেকে। তা তাদের কেউই পারেননি। সাকিব মিকারেনের হঠাত লাফিয়ে ওঠা বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। একটু পর মিরাজও ফেরেন ৩৫ রানের ইনিংস খেলে। পরের ওভারে মুশফিকও সাজঘরের পথ ধরেন মিকারেনের বলে বোল্ড হয়ে। ৭০ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে বাংলাদেশ পড়ে যায় ঘোর বিপদেই।