নিষেধাজ্ঞার শঙ্কায় ইংল্যান্ডকে কোয়ার্টার ফাইনালে তোলা বেলিংহাম
ম্যাচের তখন ইনজুরি টাইমের খেলা চলছে। স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলে পিছিয়ে ইংল্যান্ড। বিদায়ের শঙ্কা ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। যে কোনো সময় বাজতে পারে রেফারির শেষ বাঁশি। যেই বাঁশি বাজলে শেষ হয়ে যেতে পারে ইংল্যান্ডের ইউরো যাত্রা। এমন পরিস্থিতিতে গ্যালারিতে আসা ইংলিশ সমর্থকরাও দুয়ো ধ্বনি তুলছেন খোদ ইংলিশ ফুটবলারদের বিপক্ষেই। পরিস্থিতি ভয়াবহ।
এমন অবস্থায় বাইসাইকেল ক্লিকে দারুণ এক গোল করে ম্যাচটা অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যান জুড বেলিংহাম। সেখানে হ্যারি কেইনের গোলে ২-১ গোলের জয় তুলে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখে ইংল্যান্ড। এমন জয়ে ইংল্যান্ডের নায়ক বেলিংহাম। তবে এবার নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হতে পারে তাকে। বেলিংহামকে ছাড়ায় ইংল্যান্ডকে নামতে হতে পারে কোয়ার্টার ফাইনালে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে কঠিন পরীক্ষায়।
বেলিংহামের নিষেধাজ্ঞায় পড়তে যাওয়ার কারণ, গোলের পর স্লোভাকিয়ার বেঞ্চের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় অশোভন অঙ্গভঙ্গি করেছেন তিনি। তাছাড়া গোলের পর চিৎকার করে বলতে শোনা গেছে রাবিশ, ‘হু এলস’। যা খেলোয়াড়ি সুলভ আচরণ নয় বলেই ভাবা হচ্ছে। যার কারণে তাকে অন্তত এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে বলেও খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইল। আর সেটি হলে কোয়ার্টার ফাইনালে বেলিংহামকে ছাড়ায় মাঠে নামতে হতে পারে ইংল্যান্ডকে।
বেলিংহাম অবশ্য তার অমন অঙ্গভঙ্গির বিষয়টিকে ম্যাচ শেষে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন ‘গোপন মজার’ বিষয় হিসেবে। তার মতে, ম্যাচে তার বেশ কয়েকজন কাছের বন্ধুরা ছিল, যাদেরকে দেখাতেই এমন গোপন মজার উদযাপন করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে বেলিংহাম বলেছেন, এটা তেমন কিছুই নয়, তারা আজ রাতে যা খেলেছে আমি তাদের সম্মান জানাই।’ বেলিংহাম এসব কথা বললেও অশোভন অঙ্গভঙ্গির কারণে শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে তাকে।
শুধু এই অঙ্গভঙ্গিই নয় ম্যাচে গোলের পর উদযাপনে ‘হু এলস’ বলে চিৎকার করেছিলেন, যা নিয়ে বেলিংহাম ম্যাচ শেষে বলেন, ‘আমরা প্রতিদিনই কঠোর পরিশ্রম করি সমর্থকদের এমন পারফরম্যান্স উপহার দেওয়ার জন্য। কখনো কখনো সেটা ভালো হয় না, কখনো মনে হয় অতি মাত্রায় সমালোচনা হচ্ছে। এটা (হুল এলস) শুনতে ভালো লাগবে না, কিন্তু এ ধরনের মুহূর্তের জন্য এটা সব সময়ই ব্যবহার করা যায়। কিছু মানুষকে এটা ফিরিয়ে দিতে পারাটা চমৎকার, আমার তা–ই মনে হয়।’