পেনাল্টি মিস করে রোনালদোর কান্না, কস্তা-জাদুতে শেষ আটে পর্তুগাল
বয়স ৩৯ পেরিয়ে গেছে। এই বয়সেও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো খেলে যাচ্ছেন, ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা, জয়ের প্রচণ্ড তাড়না থেকেই তো! তাই তাকে ব্যর্থতাও নাড়িয়ে দেয় যেন আর সবার চেয়ে একটু বেশিই। গত রাতেও দিল। জয়সূচক পেনাল্টিটা মিস করে বসলেন তিনি। প্রতিক্রিয়ায় নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলেন না। কেঁদেই বসলেন।
তবে তাতে ভাববেন না পর্তুগাল ইউরো ২০২৪ থেকে বাদ পড়ে গেছে। গত রাতে তাদের তরিয়ে দিয়েছেন গোলরক্ষক ডিয়োগো কস্তা। নির্ধারিত সময়ে ০-০ ড্রয়ের পর পেনাল্টি শ্যুট আউটে তার পেনাল্টি সেভের হ্যাটট্রিকে ভর করে স্লোভেনিয়াকে কাঁদিয়ে শেষ আটে পৌঁছে গেছে ২০১৬ সালের চ্যাম্পিয়নরা।
পর্তুগাল গত রাতের ম্যাচে শুরু থেকেই চাপে রেখেছিল স্লোভেনিয়াকে। রোনালদোর রাতটা ভালো কাটলেই নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ফল বের করে ফেলতে পারত দলটা। শুরুর ১৫ মিনিটেই রোনালদোর কাছে ভালো সুযোগ এসেছিল হেডের, তবে তিনি তা কাজে লাগাতে পারেননি। পর্তুগালের দুর্ভাগ্যও ছিল বৈকি! প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে জোয়াও পালিনিয়ার একটা শট প্রতিহত হয় বারপোস্টে।
বিরতির পরেও পর্তুগাল আধিপত্যটা ধরে রেখেছিল। তবে স্লোভেনিয়ান গোলরক্ষক ইয়ান অবলাক দেয়াল তুলে দাঁড়িয়েছিলেন রীতিমতো। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের শেষ দিকে জয়ের সুযোগ আরও একটা পেয়েছিল পর্তুগাল। তবে সে সুযোগটাও নষ্ট করেন রোনালদো।
যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি পায় দলটা। রোনালদো সে সুযোগটাও মিস করেন। তাতে অবশ্য তার ব্যর্থতার চেয়ে অবলাকের কৃতিত্বটাই বেশি। তার পেনাল্টিটা ছিল বেশ ভালো, তা ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন অবলাক। প্রতিক্রিয়াতে কেঁদেই ফেলেন রোনালদো।
তবে তার এই কান্না বেশিক্ষণ টিকতে দেয়নি তার দল। আরেকটু স্পষ্ট করে বললে ডিয়োগো কস্তাই তা দেননি। একে একে তিনটি পেনাল্টি সেভ করে বসেন। ওদিকে রোনালদো এদিন আসেন প্রথম পেনাল্টিটা নিতে, এবার আর ব্যর্থ হননি। পরের দুটো পেনাল্টিতেও গোল করেন ব্রুনো ফের্নান্দেজ আর বার্নার্ডো সিলভা। আর তাতে ভর করেই পর্তুগাল শেষ ষোলর বৈতরণী পেরিয়ে চলে যায় কোয়ার্টার ফাইনালে।