বিশ্বকাপের দুঃখ ঘোচাতে লঙ্কার পথে শরিফুল
বাংলাদেশ দলের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিলেন শরিফুল ইসলাম। বল হাতে সময়টাও বেশ কাটছিল তার। বলা হচ্ছিল, বিশ্বকাপে পেস ইউনিটে শরিফুলই হবেন দলের প্রধান হাতিয়ার। তবে শেষ পর্যন্ত ভাগ্যের ফেরে এক ম্যাচও খেলা হয়নি তার। বিশ্বকাপের ঠিক আগে প্রস্তুতি ম্যাচে ইনিংসের মাত্র ২ বল বাকি থাকতে আঙুলে চোট পান শরিফুল। সেই চোটে আর মাঠেই নামা হয়নি তার।
এরপরও স্বপ্ন দেখছিলেন চোট সারিয়ে টুর্নামেন্টের শেষ দিকে মাঠে নামার। তবে ততক্ষণে তার জায়গায় একাদশে সুযোগ পাওয়া তানজিম হাসান সাকিব নিজের জায়গাটা পোক্ত করে ফেলেছেন। যার কারণে একরাশ হতাশা নিয়ে বাংলাদেশে ফিরতে হয়েছে শরিফুলকে। সেই হতাশা ভুলতেই এবার শ্রীলঙ্কায় এলপিএল খেলতে দেশ ছেড়েছেন শরিফুল। যেখানে বিশ্বকাপে সুযোগ না পাওয়ার দুঃখ ঘোচাতে চান তিনি।
গত আসলে লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে কলম্বো স্ট্রাইকার্সের হয়ে খেললেও শরিফুল অবশ্য এবার ড্রাফটে কোনো দল পাননি। সেই তিনিই এবার যাচ্ছেন এলপিএল মাতাতে। কীভাবে, মূলত, ক্যান্ডি ফ্যালকনসের পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আলী না আসায় তার বিকল্প হিসেবে ডাক পেয়েছেন শরিফুল। সেই সুযোগটা লুফে নিয়েই এলপিএল মাতাতে দেশ ছেড়েছেন এই পেসার।
গত ১ জুলাই শুরু হওয়া এলপিএলে শরিফুলের দল ক্যান্ডি অবশ্য এরইমধ্যে তাকে ছাড়ায় ২টি ম্যাচ খেলে ফেলেছে। যেখানে ১ জয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে দলটির অবস্থান পয়েন্ট তালিকার ৩ নম্বরে। শরিফুল নিশ্চয় দলে যোগ দিয়ে দলকে সাফল্যই এনে দিতে চাইবেন। চলতি এলপিএলে শরিফুল ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে খেলছেন তাওহিদ হৃদয়, মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ।
তবে বাকিদের চেয়ে শরিফুলের চ্যালেঞ্জটা ভিন্ন। বিশ্বকাপে সুযোগ না পাওয়ার দুঃখ ঘোচাতে চান তিনি এলপিএলেই। যা নিয়ে দেশ ছাড়ার আগে শরিফুল বলেছেন, ‘আফসোস বলতে কপালে যেটা লেখা ছিল সেটার উপর কারো কিছু করার নেই। খুব আশা ছিলাম যে একটা ম্যাচ হলেও খেলব, সুতরাং ওখানে একটু কষ্ট লাগা আছে আর কি। আর এলপিএলে যাচ্ছি ইন শা ল্লাহ চেষ্টা করব নিজের সেরাটা যেন দিতে পারি। অনেকদিন থেকে হয়তো ম্যাচ খেলা হচ্ছে না সেক্ষেত্রে এখানে ম্যাচ খেলে যাতে আগের মত আবার কাম ব্যাক করতে পারি।’