মেসির পেনাল্টি মিস, মার্তিনেজ বীরত্বে সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা
চোট থেকে ফেরা লিওনেল মেসির বাজে দিন ছিল। এতটাই বাজে যে পেনাল্টি মিসই করে বসলেন পেনাল্টি শ্যুটআউটে। সেই আর্জেন্টিনাকে শেষমেশ তরিয়ে দিলেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। ১-১ সমতার পর ইকুয়েডরের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের টাইব্রেকারে করলেন ২টি পেনাল্টি সেভ। তাতেই ৪-২ ব্যবধানে ইকুয়েডরকে হারিয়ে আর্জেন্টিনা চলে গেল কোপা আমেরিকা ২০২৪ এর সেমিফাইনালে।
এনআরজি স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা ম্যাচটায় শুরু থেকেই ছিল নিজেদের ছায়া হয়ে। শুরুর ২৫ মিনিটে ইকুয়েডরই ছিল ম্যাচের সেরা দল। এ সময় কম করে হলেও তিনটে শট নিয়েছে দলটা। একটা ছিল লক্ষ্যে, সেটা এমিলিয়ানো মার্তিনেজ সেভ করে দিয়েছিলেন।
এরপর আর্জেন্টিনা ম্যাচটায় এগিয়ে যায় আরেক মার্তিনেজের গোলে। না, লাওতারো নয়, লিসান্দ্রো মার্তিনেজ করেন গোলটা। ৩৫ মিনিটে মেসির নেওয়া কর্নার থেকে অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের ফ্লিক যায় লিসান্দ্রোর কাছে। সেটা তিনি পাঠান ইকুয়েডরের গোলপোস্টে।
সেই এক গোল বাদে আর্জেন্টিনা তেমন ত্রাস সৃষ্টি করতে পারেনি ম্যাচে। উল্টো সময়ে-সময়ে ইকুয়েডর গোলের সুযোগ সৃষ্টি করছিল। পেনাল্টিও পেয়ে গিয়েছিল একটা। ৬২ মিনিটে সে পেনাল্টিটা মিস করে বসেন এনার ভ্যালেন্সিয়া। ওই শটটা যেন ভবিতব্য পেনাল্টি শ্যুটআউটের আভাসই দিচ্ছিল!
তবে সেখানে যেতে হলে তো আগে সমতা ফেরাতে হবে, সময় বয়ে যাচ্ছিল সে সমতাটা ফেরাতে পারছিল না ইকুয়েডর। পারল যখন নির্ধারিত সময় শেষে ইনজুরি সময় চলছে। ইনজুরি টাইমের প্রথম মিনিটে ডান পাশ থেকে ক্রস করেন জন ইয়েবোয়াহ। সে বলটায় মাথা ছুঁইয়ে দেন বদলি খেলোয়াড় কেভিন রদ্রিগেজ। দীর্ঘ ভিএআর পরীক্ষার পর গোলটা দেন রেফারি। খেলা গড়ায় পেনাল্টি শ্যুটআউটে।
আর্জেন্টিনার পরিস্থিতিটা ভালো ছিল না। শেষ সময়ে গোল খেয়ে বসে মোমেন্টামটা হাত ফসকে বেরিয়ে গিয়েছিল তাদের। তার ওপর পেনাল্টি শ্যুট আউটে মেসি করে বসলেন পেনাল্টি মিস। গোলরক্ষককে ধোঁকা দিলেও তার চিপ করা বলটা ক্রসবারে লেগে চলে যায় বাইরে।
ঠিক সেই সময় আর্জেন্টিনার ত্রাতা হয়ে আসেন এমি মার্তিনেজ। আনহেল মিনা আর আলান মিন্দার শুরুর দুটো শট ঠেকিয়ে দেন যথাক্রমে বামে আর ডানে ঝাঁপিয়ে। আর্জেন্টিনা তো তখনই ম্যাচটা জিতে গেছে! এরপর আর্জেন্টিনার হয়ে পেনাল্টি নিতে আসা হুলিয়ান আলভারেজ, আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্তার, গনজালো মন্তিয়েল আর নিকলাস ওতামেন্দিদের কেউ ব্যর্থ হননি, কাজটা করেছেন ঠিকঠাক। ফলে ইকুয়েডরের দুই পেনাল্টি সফল হলেও লাভ হয়নি আর। আর্জেন্টিনাই চলে যায় সেমিফাইনালে।