১২০ মিনিটের রোমাঞ্চে জার্মানির বিদায়, স্পেন সেমিফাইনালে

১২০ মিনিটের রোমাঞ্চে জার্মানির বিদায়, স্পেন সেমিফাইনালে

পেনাল্টি শ্যুটআউটের প্রস্তুতি চলছে তখন। ১১৯ মিনিটে এ ছাড়া আর কীইবা করার থাকতে পারে? তবে মিকেল মেরিনোর মগজে তখন চলছে অন্য ভাবনা। সে ভাবনাই বাস্তবে রূপ নিল। দারুণ এক হেডারে বল আছড়ে ফেললেন জার্মানির জালে। সেই এক গোলই বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দিল এবারের ইউরোর স্বাগতিক আর ফেভারিট জার্মানির। ১২০ মিনিটের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে জার্মানিকে ২-১ গোলে হারাল স্পেন। 

ফাইনালের আগে আরেক ফাইনাল ট্যাগ পেয়ে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালের একটা ম্যাচ। জার্মানি সেখানে হাজির, যারা আবার প্রতিযোগিতার স্বাগতিকও। প্রতিপক্ষ আবার সুন্দর ফুটবলের জন্য বিখ্যাত। এমন পরিস্থিতি ম্যাচের আগে ফিরিয়ে আনছিল ২০০৬ বিশ্বকাপের স্মৃতি। এরপর ম্যাচের প্রথম ৯০ মিনিটও তো ১৮ বছর আগের আর্জেন্টিনা-জার্মানি কোয়ার্টার ফাইনালের ফ্ল্যাশব্যাক দিচ্ছিল!

কীভাবে? 

তাহলে শুনুন। ম্যাচের ৮ মিনিটে টনি ক্রুসের ট্যাকটিকাল ফাউলে মাঠ ছাড়তে হলো পেদ্রি গনজালেসকে। ২০০৬ এর ওই ম্যাচে ক্লোসার সঙ্গে সংঘর্ষে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক রবার্তো আবোনদানজিয়েরিকে। 

আজকের ম্যাচে অবশ্য এ রপর স্পেন গোল পেয়েছে। পেদ্রির বদলে নামা দানি অলমো ৫১ মিনিটে করলেন গোলটা। পুরো ম্যাচে স্পেনের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় লামিন ইয়ামালকে কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে তুলে নিলেন এরপর। তখন আবার ফিরল ২০০৬ এর ওই ম্যাচ। দলের সেরা খেলোয়াড় এরনান ক্রেসপোকে কোচ হোসে প্যাকারম্যান তুলে দিয়েছিলেন ১-০ লিডে থাকার সময়।

শেষ মুহূর্তে যখন স্পেন গোল হজম করে বসল। ফ্লোরিয়ান ভার্টজ গোল করে বসলেন, তখন সে ফ্ল্যাশব্যাকটা না এসেই পারেনা! খেলাটা অবধারিতভাবেই গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। 

তবে সেখানেই দৃশ্যটা বদলে গেল। সেখানে ফিরল ২০০৬ বিশ্বকাপের আরেক ম্যাচ। জার্মানি-ইতালির ম্যাচ। সে ম্যাচে ১১৮ মিনিটে ফাবিও গ্রসোর গোল জার্মানদের ছিটকে দেয়। আজ সময়টা একটু বাড়ল, ১১৯ মিনিটে মিকেল মেরিনো ত্রাতা হয়ে এলেন স্পেনের। জার্মানদের বিদায়ঘণ্টা বাজল তাতেই। 

এত ফ্ল্যাশব্যাক, রোমাঞ্চ, উত্তেজনার ম্যাচটা শেষমেশ হয়ে রইল এবারের ইউরোয় জার্মানির শেষ ম্যাচ। এখন থেকে পরের দুই পর্বে জার্মানি স্রেফ নীরব দর্শক!

সম্পর্কিত খবর