লড়াইয়ের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ফুটবল ছাড়লেন পেপে
বিদায় বেলায় সবচাইতে কাছের বন্ধুকে জড়িয়ে ধরে পেপের কান্না করার দৃশ্য, আবেগাপ্লুত করেছে ফুটবল ভক্তদের। সেই সাথে শেষ হলো পেপের পর্তুগাল অধ্যায়। ইউরো থেকে পর্তুগালের বিদায়ের সাথে সাথে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বিদায় এই ডিফেন্ডারের। বুকে জড়িয়ে বন্ধু রোনালদো কী বলেছেন সেটা জানা যায়নি, তবে দল হারায় হতাশা নিমজ্জিত হওয়া সিআরসেভেনও সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন পেপেকে।
শেষ অব্দি লড়াই করার মানসিকতা, ডিফেন্সে দুর্গ গড়ে তোলা, দলের প্রতি আত্মত্যাগ, মাঠে সবটা উজাড় করে দেয়া, দলের প্রতি নিবেদন - সবমিলিয়ে পেপে আদর্শ হয়ে থাকবেন পর্তুগিজ ফুটবলের ইতিহাসে। বিদায় বেলায় দলের হেডকোচ রবার্তো মার্তিনেজও বিশেষায়িত করলেন এমন বিশেষণে।
পেপেকে নিয়ে মার্তিনেজ বলেন, ‘পেপে এই টুর্নামেন্টে যা দেখিয়েছে, ফুটবলার হিসেবে এটাই তার পরিচয়। কেবল ম্যাচেই নয়, ট্রেনিং সেশনগুলোতে সে যেভাবে কাজ করেছে, যেভাবে সতীর্থদের পাশে থাকে, যেভাবে নিবেদন দেখায়, সব কিছু মিলিয়েই। পর্তুগিজ ফুটবলে সে একজন আইডল। নিজেকে টুর্নামেন্টজুড়ে যেভাবে মেলে ধরেছে, আমাদের সঙ্গে তা সবসময় রয়ে যাবে, পরবর্তী প্রজন্মের সামনে উদাহরণ হয়ে থাকবে।’
ম্যাচ শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন পর্তুগালের হয়ে ১৭ বছর আর ১৪১ ম্যাচ প্রতিনিধিত্ব করা পেপে। রোনালদো তখন সান্ত্বনা দিয়ে কী বলছিলেন, সেসব নিজের কাছেই রাখলেন ২০১৬ এর ইউরো জয়ী এই ডিফেন্ডার। বলেন, ‘এসব আমি প্রকাশ্যে বলবো না। এতটুকু বলতে পারি, আমরা এটা গভীরভাবে অনুভব করছি। লোকে যেমনই ভাবুক, আমাদের হৃদয় ছুঁয়ে যাচ্ছে।’