কেউ না থাকুক, দলের এই সঙ্কটে আমরা পাশে আছি: অভয় দিচ্ছেন পাপন

কেউ না থাকুক, দলের এই সঙ্কটে আমরা পাশে আছি: অভয় দিচ্ছেন পাপন

সেমিফাইনালের স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপে আসা বাংলাদেশ দল এখন এই বিশ্বকাপ থেকে বাস্তব অর্থে বিদায় নিয়েছে। টুর্নামেন্টের বাকি তিন ম্যাচ রয়েছে দলের। কিন্তু সেই ম্যাচে জয়-পরাজয় বা কোনো ফলই বাংলাদেশকে এই বিশ্বকাপের পরের ধাপে নিয়ে যেতে পারবে না। প্রথম ছয় ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতে হেরে বিশ্বকাপ স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের।

এই দুঃসময়ে দলের পাশেই থাকছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। গোটা দলকে ডেকে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, বাজে পারফরমেন্স হলে দলের সমালোচনা হবেই। তবে অভিভাবক সংস্থা হিসেবে বিসিবি সবসময় ক্রিকেটারদের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যাটিংটা ভালো হচ্ছে না। আমি পুরো দলকে বলেছি, তোমাদেরকে ফাইটব্যাক করা উচিত। ওরা কি চায় বলুক, যখন যাই যেটা যায় বলুক-আমরা করতে রাজি আছি। এখন দলের খারাপ সময় যাচ্ছে, এমন সময় কেউ দলের পাশে না থাকলেও আমরা আছি। কিসের জন্য আছি? সামনে ওরা যাতে ভালো খেলুক সেজন্যই পাশে আছি।’

কলকাতায় দলের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের জানান, ‘পরপর চারটা ম্যাচ হেরে যাওয়ার পরে আমার কাছে মনে হয়েছে দলের মনোবল মানসিকভাবে চাঙ্গা করা যায় কিনা, সেজন্যই আমি এসেছি। আমার মনে হয়েছে দলটা মেন্টালি বা সাইকোলোজিক্যালি একটু ডাউন। এদেরকে একটু চাঙ্গা করা যায় কিনা। আমি কলকাতায় আসার পর পুরো দল নিয়ে বসেছিলাম। তাদেরকে বলেছি, যা হয়ে গেছে তা নিয়ে আর চিন্তা করে লাভ নেই। তোমাদের কারো যোগ্যতা নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু সামনের ম্যাচগুলো তোমরা ভালো খেলবে সেটাই আমরা চাই।’

‘তোমাদের প্রত্যেকের ওপর সেই আশা ও বিশ্বাস আমাদের আছে। এছাড়া আর খেলোয়াড়দের সঙ্গে আর আমার কোনো কথাবার্তা হয়নি। এখন আমাদের সামনে আরো তিনটা ম্যাচ আছে। এই তিনটা ম্যাচে আমাদের ভালো করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। সেই ভালো করার জন্য এখন প্রয়োজন খেলোয়াড়দেরকে সাহসটা ফিরিয়ে দেওয়া। ওদের মধ্যে সাহসটা যোগানো, বিশ্বাসটা যোগানো যে ওরা পারে। ওরা পারবে। সাহসটা যদি ওদের নিজেদের মধ্যে না আসে তাহলে ওরা সবসময় কনফিউজড থাকবেই।’

‘শট নির্বাচন করতে গিয়ে, খেলতে গিয়ে, বল মারতে গিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকবে। আমি এখন ওটাই করার চেষ্টা করেছি। ওদের সাহস যোগাচ্ছি। তারা সবাই ঐক্যবদ্ধ। তাদের মধ্যে কোনো সমস্যা নেই। বাংলাদেশের মানুষ ক্রিকেটকে অনেক ভালোবাসে। ক্রিকেট তাদের প্যাশন। এই বাজে পারফরমেন্সের কারণে মানুষ যে কতো কষ্ট পেয়েছে, এটা জেনে ওদের কাছে আরো বেশি খারাপ লাগছে। কারণ ওরাই তো আমাদের সুপারস্টার। ওরা তো একদিন দুদিনের খেলোয়াড় না। অনেক লম্বা সময় ধরে তাদের ক্যারিয়ার। ওরা রান পাচ্ছে না। মানুষ এখন তাদের খারাপ বলবে। অবশ্যই বলবে। খারাপ না বলার তো কোনো কারনই নেই। মানুষজন খেলাকে ভালোবাসে বলেই তো এমন কথা বলবেই।’

‘মানুষজন বোর্ডকে বলবে, কোচিং স্টাফকে বলবেন এটা তো স্বাভাবিক। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যেহেতু এখনো টুর্নামেন্ট চলছে। আমাদের আরো তিনটা ম্যাচ আছে। এই তিনটা ম্যাচে আমরা যে আহামরি কিছু করে ফেলতে পারবো, ওটাও যে জোর দিয়ে বলতে পারছি সেটাও না। এটাই হলো রিয়েলিটি। আপনাদেরকে এই রিয়েলিটিটা বুঝতে হবে। তবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এখনো এই দলের ভালো ক্রিকেট খেলা সম্ভব, এই বিশ্বকাপেই। হার জিত বড় কথা নয়, ভালো ক্রিকেট খেলা।’

সম্পর্কিত খবর