টাইব্রেকারে সুইসদের রুখে শেষ চারে ইংল্যান্ড
প্রতিপক্ষ সুইজারল্যান্ড। যাদের সাম্প্রতিক ফর্ম আর ইতিহাস মাথায় রাখলে ইংল্যান্ডকে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হতো। ইংলিশদের তা করতে হলোও। পিছিয়ে পড়েও সমতায় ফিরেছে। এরপর জয়টা তুলে নিতে অপেক্ষা করতে হয়েছে টাইব্রেকার পর্যন্ত। সেখানে ৫-৩ ব্যবধানে জিতে ইংল্যান্ড চলে গেছে ইউরোর সেমিফাইনালে।
ফরচুনা ডুইসেলডর্ফের মাঠ মেরকার স্পিয়েল অ্যারেনায় গত রাতে প্রথমার্ধটা বেশ ম্যাড়মেড়ে কেটেছে। দুই দলের কেউই বড় সুযোগ তৈরি করতে পারেনি।
এরপর দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়লেও গোলের দেখা মিলছিল না। ৭৫ মিনিটে পরিস্থিতিটা বদলে যায় এমবোলোর গোলে। সুইজারল্যান্ডকে এগিয়ে দেন তিনি।
তবে তাদের সে উল্লাসটা পাঁচ মিনিট পরই রুখে দেন বুকায়ো সাকা। ডান প্রান্ত থেকে দূরপাল্লার শটে সমতায় ফেরান ইংলিশদের।
এরপর থেকে ১২০ মিনিট পর্যন্ত চেষ্টা করেছে দুই দলই। তবে গোলের দেখা পায়নি কেউই। ফলে খেলা গড়ায় যোগ করা পেনাল্টি শ্যুটআউটে।
সেখানে সুইজারল্যান্ডের হয়ে প্রথম শট নিতে আসা ম্যানচেস্টার সিটি ডিফেন্ডার ম্যানুয়েল আকেঞ্জির শট ঠেকিয়ে দেন ইংলিশ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। ওদিকে ইংলিশদের হয়ে কোনো ভুলচুক করেননি কোল পালমার, জুড বেলিংহ্যাম, বুকায়ো সাকা, ইভান টনি, ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ড। ফলে ৯ শটের পরই নির্ধারিত হয়ে যায় ম্যাচের ভাগ্য। ৫-৩ ব্যবধানে জিতে ইংল্যান্ড চলে যায় সেমিফাইনালে।