সমালোচনা ছাপিয়ে ফ্রান্সের নজর কেবল ইউরো ফাইনালে
পর্তুগালের বিপক্ষে অনেকটা মধুর প্রতিশোধ নিয়েই টাইব্রেকারে ম্যাচ জিতে সেমি-ফাইনালে উঠেছে ফ্রান্স। তবে সমালোচনায় যেন এখনও তাদের পিছু ছাড়ছে না। কেননা আসরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তারা ওয়ান-প্লে করতে পারেনি গোল। গ্রুপপর্ব ও শেষ ষোলো মিলিয়ে ফ্রান্স জালের দেখা পেয়েছে কেবন তিনবার। যার মধ্যে একটি গোল এসেছে পেনাল্টি থেকে। বাকি দুটি বিপক্ষে দলের আত্মঘাতী গোল। পরে কোয়ার্টার ফাইনালে গোলশূন্য ব্যবধান শেষে টাইব্রেকারে (৫-৩) জেতে দিদিয়ের দেশমের দলটি। ফেবারিটের তকমা নিয়েও পুরো দল যখন ভুগছে গোল খরায়, তখন সমালোচনাটাও পিছু ছাড়ছে না ফরাসিদের।
বিশ্বকাপের সবশেষ দুই আসরের ফাইনালিস্ট, এর মধ্যে ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হয়েও ইউরোতে যেন আরও কঠিন পরীক্ষা দিতে হয় ফ্রান্সকে। ২০১৬ আসরের রানার্স-আপের পর ২০২০ আসরে শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নেয় তারা। তবে এবার সেই বাঁধা পেরিয়ে ইউরোপীয় ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের এই টুর্নামেন্টের ২৪ বছরের শিরোপা খরা কাটানোর কেবল দুই ধাপ দূরে এমবাপে-গ্রিজমানরা। তাই তো সমালোচনা তোয়াক্কা না করে দলকে ফাইনালে তোলাতেই পুরো নজর রাখছেন তাদের কোচ দেশম।
প্রথম সেমিতে আসরের অন্যতম শক্তিশালী দল স্পেনের বিপক্ষে লড়বে ফ্রান্স। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
রোমাঞ্চকর সেই লড়াইটি সামনে রেখে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে দেশম বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি এগুলোকে (সমালোচনা) পাত্তা দেই না। আমরা সেমি-ফাইনালিস্ট। অঁতোয়ান ও এমবাপের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন? আমাদের উপলব্ধি করতে হবে যে, সেমি-ফাইনালে ওঠাও কিন্তু অনেক কিছু।’
কারো ব্যক্তিগত ফর্ম নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন দেশম। তার ভরসা এমন পরিস্থিত্তে দলীয় পারফর্মটাই বেশি উপযোগী। ‘এটা সবার জাতীয় দল। একতাই শক্তি এবং যদি একই লক্ষ্যে আমরা ছুটতে থাকি, তাহলে আমরা আমাদের লক্ষ্যপূরণ করতে পারি।’
ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে ফ্রান্স শিরোপা জিতেছে দুবার। যার সবশেষটা ২০০০ সালে। দুই যুগ পরে তাই তৃতীয় শিরোপা ঘরে তুলে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটানোই যেন ফ্রান্সের আপাতত লক্ষ্য।