বন্ধু শুভমানের দেওয়া ব্যাটে সেঞ্চুরি অভিষেকের

বন্ধু শুভমানের দেওয়া ব্যাটে সেঞ্চুরি অভিষেকের

আগের ম্যাচে রানের খাতাই খুলতে পারেননি। সেই অভিষেক শর্মা তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগারের দেখা পেয়ে গেছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেই। তার এমন ইনিংসের পর ভারত বলতেই পারে টি-টোয়েন্টির আরও এক কাঙ্ক্ষিত ব্যাটার পেয়ে গেছে তারা। 

তার সেরাটা বের করে আনতে তাকে একটা ব্যাট এনে দিয়েছিলেন বন্ধু শুভমান গিল। সে ব্যাটেই সৌভাগ্য ধরা দিল তার হাতে। অভিষেক তার ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন সে ব্যাট হাতে নিয়েই। 

গত মাসে বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা বিশ্বকাপ জিতে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে বিদায় নিয়েছেন। তাতে একটা শূন্যতা তৈরী হয়েছে ভারতের ব্যাটিং লাইন আপে। তবে ভারতের নির্বাচকের স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতেই পারেন। কারণ তাদের হাতে আছে গিল, অভিষেক এবং যশস্বী জয়সওয়ালর মতো খেলোয়াড়, যাদের উপর ভরসা করতে পারে বিসিসিআই। 

বিশ্বকাপ শেষেই ভারত শুভমান গিলের নেতৃত্ব ৫ ম্যাচ সিরিজের জন্য জিম্বাবুয়েতে বিপক্ষে দল পাঠিয়েছে। প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েতে কাছে বাজে ভাবে হারার পরে রবিবার অভিষেকের সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ১-১ সমতায় আসে ভারত।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) ধুমধুমার ব্যাটিংয়ে সবার মন জয় করেছিলেন অভিষেক। গ্যালারিতে থাকা দর্শকের দেখেছিল চার-ছয়ের বন্যা। ১৬ ইনিংসে ২০৪ স্ট্রাইক রেটে ৪২টি ছক্কার এক মালা গেঁথেছিলেন তিনি। 

তার ওপর তাই প্রত্যাশাটাও হয়তো একটু বেশি ছিল ভারতের। তবে অভিষেক প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আশার প্রতিদান ঠিক মতো দিতে পারেননি, ৪ বলে শূন্য রানে বিদায় নিতে হয় তাকে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই তিনি দেখালেন, ভারত কেন ভরসা রেখেছে তার ওপর। ৫০ রান করতে তিনি খরচ করেন ৪৭ বল, তবে পরের ৫০ রান আসে মাত্র ১৩ বলে। অভিষেকের পাওয়ার হিটিংয়ের ক্ষমতা টের পেয়েছে জিম্বাবুয়ে, ১৪তম ওভারে জিম্বাবুয়ের বাঁহাতি স্পিনার ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে টানা তিনটি ছক্কা মেরে ৮২ থেকে পৌঁছে যান ১০০-তে।

ভারতের জয় ১০০ রানে আর তাতেই ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হন অভিষেক শর্মা। তিনি জানান তার সাফল্যের পেছনের রহস্য, বন্ধু শুভমান গিলের থেকে ব্যাট ধার নিয়েই ম্যাচ খেলেছেন এই ব্যাটার। তিনি জানান, ‘আমরা এক সাথে শুরু করেছিলাম এবং আমাদের উদ্দেশ্য হলো দেশকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরা। আমরা বয়স ভিত্তিক পর্যায় থেকেই একসাথে খেলছি। আমাকে রান করতেই হবে এমন পরিস্থিতিতে আমি বন্ধু শুভমানের কাছ থেকে তার ব্যাট নিয়ে খেলে থাকি।’

এমনকি আইপিএলেও অভিষেক বন্ধু গিলের থেকে ব্যাট চাইতেন। আজও তিনি বন্ধুর ব্যাট নিয়েছেন, আর তাতেই মিলল সাফল্য। অভিষেক তার ব্যাটিং দক্ষতা দিয়ে আগেই নিজের জাত চিনিয়েছিলেন। আইপিএলে এ সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদে অস্ট্রেলিয়ার ট্র্যাভিস হেডের সাথে দুর্দান্ত ওপেনিং জুটি গড়েছেন বহুবার। এবার আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও চেনাতে শুরু করলেন নিজেকে।

সম্পর্কিত খবর