ইয়ামালের রেকর্ডময় রাতে ফ্রান্সকে হারিয়ে ফাইনালে স্পেন 

ইয়ামালের রেকর্ডময় রাতে ফ্রান্সকে হারিয়ে ফাইনালে স্পেন 

ফুটবল বিশ্ব যেন চেয়ে ছিল কিলিয়ান এমবাপের দিকেই। আসরের প্রথমবারের মতো মাস্ক খুলে নামলেন। আক্রমণে আলোও ছড়ালেন। তবে মুহূর্তেই স্পট-লাইট ইউরোর ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলারের দিকে। এমবাপের পাস থেকে কোলো মুয়ানির গোলের শুরুতেই এগিয়ে গিয়েছিল ফ্রান্স। তবে ১৬ বছর ৩৬২ দিন বয়সী লামিনের ইয়ামালের গোলে সমতায় ফেরে স্পেন। যা ইউরোর ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী কোনো ফুটবলারের গোলের রেকর্ড। এর মিনিট চারেক পরই দানি অলমোর অসাধারণ এক গোলে ২-১ গোলের ব্যবধান পায় স্প্যানিশরা। ম্যাচের শেষ পর্যন্তও ব্যবধান থাকে সেটিই। এতেই ২-১ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠে যায় স্পেন। 

ওপেন-প্লে থেকে কোনো গোল না করেই সেমি-ফাইনালে ওঠায় বেশ সমালোচনায় হচ্ছিল দিদিয়ের দেশমের দলটিকে নিয়ে। তবে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ের এই ম্যাচটির একদম শুরুতেই যেন তার জবাব দিয়ে দিয়েছিল ফ্রান্স। এমবাপের বাড়িয়ে দেওয়া বলে দারুণ এক হেডে ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই লিড নিয়ে নেয় ফরাসিরা। তবে এবারের স্পেন যেন ‘অপ্রতিরোধ্য’। মিনিট পাঁচেকের ব্যবধানেই জোড়া গোল করে লিড নিয়ে তারা বুঝিয়ে দিল কেন তারা আসরের সেরা। 

এই জয়েই ইউরোপীয় ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের এই টুর্নামেন্টের এক যুগ পর ফাইনালে পৌঁছাল স্পেন। এর আগে সবশেষ ২০১২ আসরের ফাইনালে খেলেছিল দলটি। সেখানে ইতালিকে ৪-০ ব্যবধানে উড়িয়ে তারা জিতেছিল শিরোপাটাও।

ম্যাচের ২১তম মিনিটে লামিনে ইয়ামালের সেই গোল একসঙ্গে গড়েছে বেশ কয়েকটি রেকর্ড। ইউরোতে ১৬ বছর বয়সে একমাত্র গোলদাতা ও সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা হলেন তিনি। এদিকে ইউরো ও বিশ্বকাপ মিলিয়েও এটি সবচেয়ে কম বয়সে গোল করার রেকর্ড। এর আগে ১৯৫৮ বিশ্বকাপে ১৭ বছর ও ২৩৯ দিন বয়সে গোল করেছিলেন ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে বড় তারকা পেলে। 

দারুণ এই পারফর্মের ভরে ম্যাচসেরার খেতাবটিও গেছে ইয়ামালের ঝুলিতে। সেখানেও তিনি গড়েছেন কীর্তি। ইউরোতে সবচেয়ে কম বয়সের ম্যাচসেরার খেতাব পাওয়া ফুটবলারও এখন তিনিই। 

এদিকে শিরোপার লড়াইয়ের মঞ্চের আর একটি টিকিট বাকি। স্পেনের বিপক্ষে ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে আজ নামবে নেদারল্যান্ডস ও ইংল্যান্ড। ডর্টমুন্ডে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়। 

সম্পর্কিত খবর