‘১০ এর পুনরাবৃত্তি হলো না, আবারও ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড
এক পাশ থেকে স্পেন উঠে গেছে ফাইনালে। অন্য পাশ থেকে নেদারল্যান্ডসের সামনে একটা সম্ভাবনা ছিল ইউরো ২০২৪ এর ফাইনালে যাওয়ার। ডাচরা সে সম্ভাবনাকে বাস্তবতায় রূপ দিতে পারলে ২০১০ বিশ্বকাপের ফাইনালের রিম্যাচ ফুটবল বিশ্ব দেখতে পেত ২০২৪ ইউরোর ফাইনালে। জাভি সিমন্সের গোল কিছুক্ষণের জন্য সেটাকে খুব সম্ভব বলেই মনে করাচ্ছিল।
তবে এরপরই ম্যাচে ফিরল ইংল্যান্ড। হ্যারি কেইনের পেনাল্টি আর শেষ সময়ে ওলি ওয়াটকিন্সের গোলে ভর করে ২-১ গোলের জয় তুলে নিয়েছে। তাতে ডাচদের হতাশায় ডুবিয়ে আবারও ইউরোর ফাইনালের টিকিট কেটে ফেলেছে কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের দল।
ডর্টমুন্ডের মাঠ সিগনাল ইডুনা পার্কে গত রাতে নেদারল্যান্ডস মিডফিল্ডার জাভি সিমন্স ইংলিশদের স্তব্দ করে দিয়েছিলেন শুরুতেই। ৭ মিনিটে ডেকলেন রাইসের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে দূরপাল্লার আগুনে এক শট নেন তিনি। তা রক্ষণ তো বটেই, ইংলিশ গোলরক্ষককেও ফাঁকি দিয়ে জড়ায় জালে।
সেই গোল হজম করে ইংল্যান্ড জেগে ওঠে। মুহুর্মুহু আক্রমণের ফলটাও পেয়ে যায় দলটা। হ্যারি কেইনের শট ঠেকাতে গিয়ে ফাউল করে বসেন ড্যানজেল ডামফ্রিস। পেনাল্টি থেকে কেইন সমতায় ফেরান ইংল্যান্ডকে।
এরপর থেকে শেষ পর্যন্ত আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ চলেছে, কিন্তু গোল আর কোনো দলই পায়নি। ইনজুরি সময়ে সে ডেডলকটা ভাঙেন ওলে ওয়াটকিন্স। কোল পামারের বাড়ানো বল থেকে দারুণ এক গোল করে ইংলিশদের ফাইনালের টিকিট কেটে দেন অ্যাস্টন ভিলার এই স্ট্রাইকার।
এই জয়ের ফলে অবশেষে দেশের বাইরে কোনো প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠতে পারল ইংল্যান্ড। আগামী রোববার রাতে দলটা প্রথম ইউরো শিরোপা জেতার জন্য খেলবে স্পেনের বিপক্ষে।