ম্যাচ হেরে প্রতিপক্ষ সমর্থকদের সঙ্গে বিবাদ নুনিয়েজদের

ম্যাচ হেরে প্রতিপক্ষ সমর্থকদের সঙ্গে বিবাদ নুনিয়েজদের

খেলাটা নর্থ ক্যারোলাইনা নাকি বারাংকিলায় হচ্ছিল তা নিয়ে ম্যাচটা চলাকালে দ্বিধায় পড়ে যেতে হচ্ছিল। পুরো গ্যালারির একটা বড় অংশ ছেয়ে ছিল হলুদে। তার ওপর উরুগুয়ের পায়ে বল গেলেই দুয়ো আর সিঁটিতে কান পাতাই দায় হয়ে দাঁড়াচ্ছিল রীতিমতো। 

সেই গ্যালারি ভরা দর্শকদের হামেস রদ্রিগেজরা মোটেও হতাশ করেননি। ১-০ গোলে উরুগুয়েকে হারিয়ে চলে গেছেন কোপা আমেরিকার ফাইনালে, ২৩ বছর পর। তবে এরপরই দেখা মিলল অপ্রীতিকর এক দৃশ্যের।  কলম্বিয়ার গ্যালারির দিকে ধেয়ে গেলেন উরুগুয়ের কয়েকজন ফুটবলার। সেখানে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন কলম্বিয়া সমর্থকদের সঙ্গে। শেষ দিকে যা মারামারিতে রূপ নেয়।

সেমিফাইনালে হারের হতাশা তো আছেই, ম্যাচ শেষে প্রতিপক্ষ সমর্থকদের সঙ্গেও এভাবে বিবাদে জড়িয়ে পড়লেন ডারউইন নুনিয়েজরা। যার ফলে উরুগুয়ে দলে ফুটবলাররা এক বিব্রতকর পরিস্থিতিতেই পড়ে গেছেন বৈকি। 

সমর্থকদের সঙ্গে উরুগুয়ে ফুটবলারদের সে মারামারির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। সেখানে দেখা যায়, ডাগআউটের পাশের সিঁড়ি দিয়ে গ্যালারিতে উঠে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন ডারউইন নুনিয়েজ, হোসে মারিয়া হিমিনেজ, চোটের কারণে ম্যাচে খেলতে না পারা রোনাল্ড আরাউহোসহ উরুগুয়ের আরও কয়েকজন ফুটবলার। 

তাদের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষিপ্ত দেখা যায় নুনিয়েজকে। সবার আগে গ্যালারিতে ঢুকে কলম্বিয়া সমর্থকদের তাক করে একের পর এক ঘুষি মেরেছেন এই লিভারপুল ফরোয়ার্ড। যদিও বেশিরভাগই হয়েছে লক্ষ্যভ্রষ্ট, যেমনটা ম্যাচে হয়েছে তার শটগুলো। 

ম্যাচ শেষে ব্রডকাস্ট চ্যানেলে কর্তৃপক্ষ নিয়ে বেশ ক্ষোভ ঝাড়েন উরুগুয়ে ডিফেন্ডার হিমিনেজ। তিনি বলেন, ‘তারা (কর্তৃপক্ষ) থামিয়ে দেওয়ার আগেই আমার বিষয়গুলো নিয়ে কিছু বলা উচিত। কারণ তারা পরে কিছু বলতে দেবে না। তারা চায় না এই বিপর্যয়ের ব্যাপারে আমরা কিছু বলি।’

সেই গ্যালারিতেই ছিলেন উরুগুয়ের ফুটবলারদের পরিবাররা। হিমিনেজের বক্তব্যে জানা যায়, তারা মূলত নিজেদের পরিবারের সদস্যদের রক্ষা করতে সেখানে গিয়েছিলেন। ‘আমাদের পরিবার গ্যালারিতে থাকে। সেখানে শিশুরাও থাকে। পুরো বিষয়টি একটা বিপর্যয় ছিল। সেখানে কোনো পুলিশ ছিল না। তাই আমাদেরকেই তাদের (পরিবারের সদস্য) রক্ষা করতে যেতে হয়েছে।’ 

সম্পর্কিত খবর