এমন গোলের চিত্র আগেই এঁকে রেখেছিলেন ওয়াটকিন্স 

এমন গোলের চিত্র আগেই এঁকে রেখেছিলেন ওয়াটকিন্স 

ইউরোর দ্বিতীয় সেমিতে আরও একটি জমজমাট লড়াই দেখল ফুটবল বিশ্ব। নেদারল্যান্ডস-ইংল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচের ২০ মিনিটের মধ্যেই স্কোরলাইন দাঁড়ায় ১-১ এর সমতায়। সেই সমতা রেখেই ম্যাচ যাচ্ছিল অতিরিক্ত সময়ের পথে। মূল সময়ের শেষ দিকে ডাচদের দাপটের ইংল্যান্ড দলের অবস্থা অনেকটা এমন ছিল, ম্যাচ তারা অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে নিয়ে গেলে যেন হাফ ছেড়ে বাঁচে। তবে ম্যাচের ৯০ মিনিটের বাকি যখন আর ঠিক এক সেকেন্ড তখনই ডাচ রক্ষণকে হতাশায় ডুবিয়ে গোল করে বসেন বদলি নামা ওলি ওয়াটকিন্স। আর এতেই শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে ফাইনালের পৌঁছায় ইংল্যান্ড। 

ম্যাচের ৮১তম মিনিটে অধিনায়ক হ্যারি কেইনের বদলি হিসেবে নামেন ওয়াটকিন্স। আগের পাঁচ ম্যাচে যখন স্রেফ ২০ মিনিট খেলতে পেয়েছিলেন এই ২৮ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। তবে এবার সেমিতে ১০ মিনিটেই বনে গেলেন ম্যাচ জয়ের নায়কের। 

ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তের কোল পালমারের দারুণ এক পাস থেকে শরীর ঘুরিয়ে অন্য গোলপোস্টের দিকে সজোরে এক শট নেন ওয়াটকিন্স। সেটি লম্বা ড্রাইভ দিয়েও ছুঁতে পারেননি ডাচ গোলরক্ষক। দলের হয়ে এমন নির্ধারণী গোল করার ছক আগেই রেখেছিলেন ওয়াটকিন্স। যা সবার লাগে পারে বেশ হাস্যকর। তাই তো নিজ সন্তানদের কসম খেয়ে তিনি বললেন, পালমারের সঙ্গে গোল করা নিয়ে আগে থেকে পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন। 

ম্যাচশেষে সেই গল্পটা জানিয়ে ওয়াটকিন্স বলেন, ‘আমার বাচ্চাদের প্রাণের শপথ, কোল পালমারকে এটা বলেছিলাম, আজকে আমরা মাঠ নামব এবং তুমি আমাকে বল বানিয়ে দেবে।’

পালমার বলটা পেলে পাস দেবে তাকে, এটা তাই আগে থেকেই জানতেন ওয়াটকিন্স। ‘সে (পালমার) বল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জানতাম, আমাকেই বল দেবে। ওই সময়টায় নিজের ভেতরে তাড়না থাকতে হবে, বলে স্পর্শ ও ফিনিশিংটা ভালোভাবে করতে হবে…সেরা একটি অনুভূতি সেটি।’

সম্পর্কিত খবর