উরুগুয়ের হারের দায় মাথা পেতে নিলেন বিয়েলসা
গোল হজম করলেও তার জবাব দেওয়ার যথেষ্ট সুযোগ ছিল উরুগুয়ের। তার ওপর কলম্বিয়া খেলছিল দশ জন নিয়ে। সব মিলিয়ে উরুগুয়ের সামনে সুযোগ ছিল ম্যাচে ফেরার। সে সুযোগতা ২০১১ সালের চ্যাম্পিয়নরা কাজে লাগাতে পারেনি। কলম্বিয়ার কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে কোপা আমেরিকা থেকে। এই হারের দায় মাথা পেতে নিয়েছেন কোচ মার্সেলো বিয়েলসা।
দুই দলের প্রতিভার দিকে তাকালে নিজের দলকেই শ্রেয়তর মনে হতো বিয়েলসার। তিনি বলেন, ‘আপনি যদি দুটো দলের ব্যক্তিগত প্রতিভাগুলোর দিকে তাকান, তাহলে উরুগুয়ের সামনে ম্যাচটা জেতার সুযোগ ছিল বেশি। কিন্তু আমরা পার্থক্য গড়ে দিতে পারিনি। যদিও একটা সময় আমি মনে করেছিলাম, আমরা বুঝি কাজটা করে ফেলতে পারব। আপনি যদি দুই দলের খেলার দিকে তাকান, তাহলেই বুঝতে পারবেন।’
এমন একটা দল নিয়েও ফল বের করে আনতে পারেননি, তাই হতাশায় পুড়ছেন আর্জেন্টাইন এই কোচ। তিনি বলেন, ‘‘আমার কাছে খেলোয়াড় ছিল যারা প্রতিপক্ষের চেয়ে ভালো। এ দল নিয়েও আমি ফল আনতে পারিনি, এর দায় আমার একারই।’
এমন হারের পর কলম্বিয়া কোচকে তার নিজের চেয়ে ভালো বলতেও দ্বিধা নেই বিয়েলসার। তিনি বলেন, ‘আমরা বাড়তি খেলোয়াড় নিয়ে খেলার সুযোগটা কাজে লাগাতে পারিনি। যখন একটা দল কম প্রতিভাবান খেলোয়াড় নিয়ে জেতে, তখন যুক্তি দিয়ে দেখলে বলা যায় যে কোনটা তাদের দলকে জিতিয়েছেন, তিনি প্রতিপক্ষ দলে থাকা সেরা খেলোয়াড়গুলোর কোচের চেয়ে ভালো।’
বিয়েলসা আফসোসে পুড়ছেন বটে, কিন্তু তার আফসোসের পুরোটা প্রথমার্ধ নিয়ে। ডারউইন নুনিয়েজ যে এই সময় দুটি সুযোগ নষ্ট করেছেন! এছাড়াও সুযোগ এসেছিল। তবে কলম্বিয়ার ১০ জনের দলে পরিণত হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের খেলা নিয়ে অভিযোগই করলেন বিয়েলসা।
তিনি বলেন, ‘প্রথমার্ধে আমাদের বলের দখল কম থাকলেও আমাদের সামনে সুযোগ এসেছিল, আমাদের গোল করা উচিত ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে যখন কলম্বিয়া দশ জন নিয়ে খেলল, তখন ম্যাচটা বারবার বন্ধ হচ্ছিল। খেলা একবার চালু হচ্ছিল, আরেক বার বন্ধ হচ্ছিল। আমাদের আরও বেশি সুযোগ তৈরি করে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা উচিত ছিল। তারাও গোল করতে পারত, কারণ তাদের সামনে পরিষ্কার সুযোগ ছিল।’
সেমিফাইনালে কলম্বিয়ার কাছে এই হারের পর উরুগুয়ে এখন খেলবে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে। কানাডার বিপক্ষে এই ম্যাচ হবে আগামী রোববার সকাল ৬টায়।