নিজেকে ‘ফিটনেস ফ্রিক’ বললেন জাহানারা
চলতি মাসের ১৯ তারিখ পর্দা উঠছে নারী এশিয়া কাপের। শ্রীলঙ্কার মাটিতে হতে চলা এই টুর্নামেন্টকে উদ্দেশ্য করে বর্তমানে কঠোর অনুশীলনে ব্যস্ত বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। আত্মবিশ্বাসে ভরপুর টাইগ্রেসরা এবার ভালো কিছুর স্বপ্নই দেখছেন।
বিসিবি থেকে প্রকাশিত হয়েছে অভিজ্ঞ পেসার জাহানারা আলমের একক সাক্ষাৎকার। যেখানে তিনি কথা বলেছেন আসন্ন এশিয়া কাপ এবং ঘরের মাটিতে হতে চলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসরের নিজেদের প্রস্তুতি নিয়ে। সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে জাহানারা যা বলেছেন তা তুলে ধরা হলো।
আপনার জাতীয় দলে ফিরে আসার জার্নিটা কেমন ছিল?
আলহামদুলিল্লাহ দীর্ঘ এক বছর পর আবার জাতীয় দলে ব্যাক করেছি। আল্লাহর অশেষ রহমত, শোকর আলহামদুলিল্লাহ। শুকরিয়া জানাই আল্লাহর প্রতি। এই দীর্ঘ এক বছরের মধ্যে নয়মাস আমি মাস্কোতে ট্রেনিং করেছি মাস্কো একাডেমিতে। শেখ সালাউদ্দিন স্যার সহ ওখানে যারা কোচিং স্টাফ ছিলেন তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন আমার সাথে। চেষ্টা করেছেন আমি যেন ভালো পারফরম্যান্স করতে পারি। ইনফ্যাক্ট প্রতিটা সময় আমি ট্রাই করেছি নিজেকে প্রিপেয়ার রাখার জন্য। ওমেন্স টিমের যখনই আমাকে প্রয়োজন হবে আমি যেন প্রিপেয়ার অবস্থায় থাকতে পারি। লাস্ট প্রিমিয়ার লিগে দারুণ পারফরম্যান্সও হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। দীর্ঘ নয় মাসের পরিশ্রম বলতে পারেন। সবকিছু মিলিয়ে এটা অনেক ভালো ফিলিং যে আমি আবারও বাংলাদেশ টিমকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারব।
আপনার ফিটনেস লেভেল ফিরে আসার ব্যাপারে বলুন-
আমি সবসময় ফিটনেস ফ্রিক। আমি নয় বছর বয়স থেকে খেলাধুলা করি এবং সেটা হ্যান্ডবল-ভলিবল সবাই জানে। ইন্টার স্কুল, ইন্টার ডিস্ট্রিক্ট, ইন্টার ডিভিশন তখন থেকেই আসলে শুরু। ২০০৭ সাল থেকে যখন ক্রিকেট খেলি তখন থেকে শুরু করে সবসময় আমি চেষ্টা করেছি ফিটনেসটা যেন ভালো লেভেলে থাকে। আমি যেহেতু একজন পেস বোলার এবং ২০০৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আমি চেষ্টা করেছি একই পেস মেইন্টেইন করার জন্য। বরং ইনক্রিস হয়েছে পেসটা আমার, ডিমোশন হয়নি। এটা আমাকে হেল্প করেছে বিশেষ করে আমার ফিটনেস ও আমার স্ট্রেন্থ লেভেল। আমনারা জানেন মনে হয় ফিটনেসের মধ্যে আমি জিম এবং রানিংটা করতে খুব পছন্দ করি। বিশেষ করে আমার এই এজে এসে, আমি প্রায় সাড়ে ১৫ বছর ন্যাশনাল টিমকে সার্ভিস দিয়েছি। সাড়ে ১৭ বছর আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ার। সবকিছু মিলিয়ে দেখা যায় যে, এখনো আমি যেই লেভেলে ওয়েট ট্রেনিং করি বা আমি জিমে ট্রেনিং করি, ওই পাওয়ারটা আমাকে হেল্প করে আমার পাওয়ার জেনারেট করতে বা আমার ফিটনেস লেভেলটা ধরে রাখার জন্য। সো ইট হেল্পস মি।
এশিয়া কাপের জন্য প্রস্তুতিটা কেমন হলো?
শোকর আলহামদুলিল্লাহ। খুব ভালোভাবে ট্রাই করেছি যেন ভালোভাবে প্রিপেয়ার হতে পারি আপকামিং এশিয়া কাপের জন্য। যেহেতু প্রিমিয়ার লিগের আগে আমি টিমের বাইরে ছিলাম ওখানেও ট্রাই করেছি আমি নিজেকে যেন খুব ভালোভাবে প্রিপেয়ার করতে পারি। প্রিমিয়ার লিগ আমার জন্য টার্নিং টুর্নামেন্ট ছিল। যেখানে কিনা আমি চেষ্টা করেছি নিজেকে আরও ভালোভাবে প্রিপেয়ার করার জন্য। তারপরে ন্যাশনাল ক্যাম্প চলছে আমাদের। আশা করছি যে হেল্প হবে আমার যে প্রিপারেশন তা ম্যাচে ডেলিভার করার জন্য হেল্প করবে আমাকে।
এশিয়া কাপে নিজের এবং দলের টার্গেট কি?
দলের ফার্স্ট টার্গেট আমাদের খুব ভালোভাবে সেমিফাইনাল খেলা। এখানে আমাদের একটা ইকুয়েশন আছে আমাদের যেটা আমি মনে করি। যদি আমরা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনাল খেলতে পারি সেক্ষেত্রে পাকিস্তানের বিপক্ষে আমাদের সেমিফাইনালে ফেস করা লাগতে পারে। এদিক থেকে আমাদের জন্য একটু সহজ হতে পারে। আমরা অবশ্যই সেটাই চেষ্টা করবো। আমাদের খুব ইম্পরট্যান্ট ম্যাচ থাকবে প্রথম ম্যাচ। খুব ভালোভাবে পজিটিভ রেজাল্ট যদি আমরা বাংলাদেশ টিমের জন্য নিয়ে আসতে পারি এটা আমাদের জন্য ভালো হবে। ডেফিনেটলি আমরা চেষ্টা করবো আমাদের সুখস্মৃতিতে ব্যাক করার জন্য যেটা আমরা ২০১৮ সালে করেছিলাম। আমার পারসোনালি নিজের টার্গেট থাকবে যেন আমি প্রত্যেকটা ম্যাচে দলকে খুব ভালো কন্ট্রিবিউট করতে পারি দলের জয়ে।
সামনেই ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, তার আগে এশিয়া কাপটা দলের জন্য বা নিজের জন্য কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ?
ডেফিনেটনি ইটস ভেরি ইম্পরট্যান্ট ফর আস। এশিয়া কাপে আমরা শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও ইন্ডিয়াকে ফেস করতে চলেছি কোনো না কোনোভাবে। এদিক থেকে তিনটা টিমই অনেক ইম্পরট্যাট আমাদের জন্য। যেহেতু ওয়ার্ল্ড কাপ আমাদের নিজেদের দেশেই হচ্ছে সো এটাই আমাদের জন্য একটা প্লাস পয়েন্ট হয়ে থাকবে। ওয়েদার উইকেট যেহেতু আমাদের পরিচিত সো আমরা যদি ভালো পজিটিভ রেজাল্ট নিয়ে আসতে পারি সেদিক থেকে আমরা মেন্টালি ও স্কিলের দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে থাকব। এটা আমাদের জন্য হেল্পফুল হবে অবশ্যই।