টিকিটের দাম ৫ কোটি ১২ লাখ ২৪ হাজার টাকা!
ইউরোর ফাইনাল জুড়ে ইংল্যান্ড সমর্থকরা একই সুরে গান গাইছে- ‘ইটস কামিং হোম’! ট্রফি এবার ঘরে আসছে, এই আনন্দে সামিল হতে ফাইনালের টিকিটের জন্য হাহাকার চলছে। টানা দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোর ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড। গেলবার তারা ট্রফি জিততে পারেনি। টাইব্রেকারে হেরেছিল। এবার সম্ভাবনার স্বপ্ন আকিঁবুকি আঁকছে ইংল্যান্ড শিবিরকে ঘিরে। রোববার রাতের বার্লিনের ফাইনালের টিকিট পেতে মরিয়া প্রায় ইংল্যান্ডের সমর্থকরা।
বার্লিন স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা ৭১ হাজার। দুই ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড ও স্পেনের ফুটবল ফেডারেশনের কাছে ১০ হাজার করে টিকিট দিয়েছে আয়োজকরা। কিন্তু ফাইনাল দেখার জন্য যে আরো অনেক বেশি ভিড়! টিকিটের এমন বিপুল চাহিদায় দালাল চক্রের ব্যবসাও বেশ রমরমা।
ধারণা করা হচ্ছে রোববারের ফাইনালে বার্লিন স্টেডিয়ামে স্পেনের চেয়ে ইংল্যান্ডের সমর্থকের সংখ্যা বেশি হবে। আনুমানিক হিসেব কষা হচ্ছে এদিন ৭১ হাজার দর্শকের মধ্যে অন্তত ৫০ হাজার দর্শক সমর্থকের গায়ে থাকবে ইংল্যান্ডের জার্সি। স্টেডিয়াম গ্যালারির ক্যাটাগরি ১ এর টিকিট যার মুল্যমান ছিল ৮৪০ পাউন্ড। তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫ হাজার পাউন্ডে! বাংলাদেশি টাকার হিসেবে (১ পাউন্ড= ১৫২ টাকা) এর মুল্য দাড়াচ্ছে ৫৩ লাখ ২০ হাজার টাকা!
ক্যাটাগরি ৩ এর ২৫২ পাউন্ড মুল্যমানের টিকিটের দাম বাজারে হাঁকা হচ্ছে ৭,৫০০ পাউন্ডে। এতো গেল সাধারণ গ্যালারির টিকিটের দরদাম। এবার একটু ভিআইপি গ্যালারির টিকিটের দিকে নজর দেই।
উয়েফার স্কাইবক্স প্যাকেজের অংশ হিসেবে দশজনের বসার জায়গার হসপিটালিটি বক্সের টিকিটের মুল্য রাখা হয়েছে ৩৩৭,০০০ পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় হিসেবটা হলো (১ পাউন্ড= ১৫২ টাকা) ৫ কোটি ১২ লাখ ২৪ হাজার টাকা! প্রকৃত মুল্যের চেয়ে যা ৪২ গুণ বেশি দাম। এই হসপিটালিটি বক্সে একসঙ্গে ১০ জন বসতে পারেন। তাদের দেখাশোনার জন্য একজন প্রাইভেট সেফ থাকবেন এবং প্রায় সাড়ে চার ঘন্টা এখানে মদ পানের অনুমতি রয়েছে।
তবে উয়েফা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, যারা টিকিট কিনেছেন কিন্তু সেটা আবার যেনতেন ভাবে বিক্রি করার চিন্তা করছেন তারা যেন সতর্ক হয়ে যান। কারণ যে কেউ যে কোনো টিকিট কিনে আবার সেটা পুনরায় বিক্রি করতে চাইলে তা অবশ্যই উয়েফার সেলস চ্যানেলের মাধ্যমে হতে হবে। এই অফিসিয়াল প্ল্যাটফর্ম ছাড়া অন্য কোনো সূত্রে কেউ টিকিট কিনলে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে পারবেন না।
বিক্রিত টিকিট যাতে অন্য কেউ চড়া মুল্যে পূনরায় বেচতে না পারে সেজন্যই উয়েফা এই ব্যবস্থা রেখেছে। বিক্রিত টিকিট যে মুল্যে কেনা হয়েছিল, সেই মুল্যেই যাতে অন্য কেউ কিনতে পারেন অমন ব্যবস্থা সুনির্দিষ্ট করতেই উয়েফা এই নিয়ম চালু করেছে।