গোলশূন্য ৯০ মিনিট, খেলা গড়াল অতিরিক্ত সময়ে

গোলশূন্য ৯০ মিনিট, খেলা গড়াল অতিরিক্ত সময়ে

প্রথমার্ধে গোল পায়নি না কলম্বিয়া-আর্জেন্টিনার কেউই। পায়নি দ্বিতীয়ার্ধেও। ফলে খেলাটা গড়িয়েছে অতিরিক্ত সময়ে। তবে এ অর্ধের হাইলাইটস লিওনেল মেসির মাঠ ছেড়ে যাওয়া। ক্যারিয়ারে প্রথম বারের মতো কোনো ফাইনালের পুরোটা শেষ হওয়ার আগে মাঠ ছাড়লেন তিনি। 

৫ মিনিটে লুইস দিয়াজের দূরপাল্লার শট ঠেকান এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। 

৭ মিনিটে হামেস রদ্রিগেজের শুরু করে দেওয়া এক আক্রমণে জন করদোবা একটা সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে বল আয়ত্বে নেওয়ার আগে তার নেওয়া শট লক্ষ্যে থাকেনি শেষমেশ, পোস্টের বাইরের দিকটা ছুঁয়ে চলে যায় বাইরে।

১৩ মিনিটে ম্যাচের প্রথম কর্নার যায় কলম্বিয়ার পক্ষে। হামেসের কর্নার থেকে কুয়েস্তার হেডার ঠেকান এমি মার্তিনেজ। 

এ সময় মেসিও ছিলেন বড় বিবর্ণ। তার বাড়ানো তিন লং বলের তিনটিই উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারেনি তার। 

আর্জেন্টিনা বলার মতো সুযোগ পায় ম্যাচের ২০ মিনিটে। দারুণ এক আক্রমণ শেষে আনহেল দি মারিয়ার বাড়ানো বল খুঁজে পায় বক্সের ভেতরে থাকা মেসিকে। তার শট একাধিক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে শেষমেশ চলে যায় কলম্বিয়া গোলরক্ষক কামিলো ভারগাসের হাতে। 

৩৩ মিনিটে জেফারসন লারমার দূরপাল্লার শট ঠেকান এমি মার্তিনেজ। 

ম্যাচের ৩৬ মিনিটে বল নিয়ে লিওনেল মেসি ঢুকে পড়েছিলেন কলম্বিয়া বক্সে। সেখানে সান্তিয়াগো আরিয়াসের বুট লাগে তার ডান পায়ের গোড়ালির একটু ওপরে। বেশ কিছুক্ষণ মাঠের বাইরে থাকতে হয় তাকে। 

৪০ মিনিটে আবারও দূর থেকে চেষ্টা করে কলম্বিয়া। তবে রিচার্ড রিওসের এই শটও মার্তিনেজ ঠেকিয়ে দেন সহজেই। 

৪৩ মিনিটে বক্সের বাইরে আর্জেন্টিনা ফ্রি কিক পায় আরিয়াস তালিয়াফিকোকে ফাউল করে বসলে। মেসির সেট পিস থেকে তালিয়াফিকোর হেডার থেকে গোলের দেখা পায়নি আর্জেন্টিনা, লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় চেষ্টাটা। 

৪৭ মিনিটে হামেসের ক্রস থেকে জন করদোবার মাথা ছুঁয়ে বল যায় সান্তিয়াগো আরিয়াসের পায়ে, তার শট একটুর জন্য চলে যায় লক্ষ্যের বাইরে দিয়ে। 

এর পরের মিনিটে মেসির বাড়ানো বলে গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার। তবে এগিয়ে এসে তাকে শট নেওয়া থেকে আটকে দেন গোলরক্ষক ভারগাস। ফিরতি চেষ্টায় এরপর আনহেল দি মারিয়ার শটটাও ঠেকান তিনি। 

৫৮ মিনিটে দারুণ এক আক্রমণ শেষেও গোলের দেখা পায়নি আর্জেন্টিনা। এর একটু পর আবারও আক্রমণে আসে আর্জেন্টিনা। আনহেল দি মারিয়ার শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক ভারগাস। 

প্রথমার্ধের পাওয়া সে চোট মেসিকে তাড়া করে ফিরছিল দ্বিতীয়ার্ধেও। একটা বলে জনাথন মোহিকার পিছু নিতে গিয়ে তার ডান পায়ে চোট পান আবার। বেশ কিছুক্ষণ তাকে মাঠে চিকিৎসা নিতে দেখা যায়। তবে শেষ রক্ষা  হয়নি শেষমেশ। তাকে মাঠ ছাড়তে হয় ম্যাচের মোটে ৬৬ মিনিটে। 

তার বিদায়ের পর আরও সুযোগ পেয়েছে আর্জেন্টিনা। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। কলম্বিয়াও পারেনি। ফলে খেলাটা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। 

সম্পর্কিত খবর