আরও একবার পেলেকে ছাড়িয়ে গেলেন ইয়ামাল
লামিন ইয়ামালের বয়সটা এখন ১৭ বছর ৩ দিন। তবে ইউরোর এবারের আসরটা শুরু করেছিলেন ১৬ বছর বয়সে। সেখানে শুরু থেকেই একের পর রেকর্ডে নাম লিখিয়ে বনে গেছেন বিস্ময় বালকের। যেই রেকর্ডের লিস্টের একটিতে তো ইয়ামাল ছাড়িয়ে যান ফুটবলের রাজা পেলেকেও। এবার ফাইনালের স্প্যানিশদের হয়ে ইউরো শিরোপা জিতে আরও একবার পেলেকে ছাড়িয়ে গেলেন তিনি।
ইউরোতে মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গেই ইউরোপীয় ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হন ইয়ামাল। এদিকে প্রথমবারের মতো পেলের একটি রেকর্ড যান সেমি-ফাইনালের ফ্রান্সের বিপক্ষে। সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে বড় কোনো টুর্নামেন্টের সেমিতে খেলার রেকর্ড।
দিন তিনেক বাদে এবার আরও একবার পেলেকে ছাড়িয়ে গেলেন ইয়ামাল। ইউরো বা বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে ফাইনাল খেলা ও একইসঙ্গে শিরোপা জেতা ফুটবলার এখন তিনিই। ১৯৫৮ সালে যখন ব্রাজিল বিশ্বকাপ জিতেছিল তখন পেলের বয়স ছিল ১৭ বছর ২৪৯ দিন। তবে ইয়ামাল এই কীর্তি গড়লেন নিজের ১৭তম জন্মদিনের পরদিনই। তাই তো এই স্প্যানিশ তারকার কাছে শিরোপা জেতাটা ছিল জন্মদিনের সেরা উপহার।
গত রাতের শিরোপা জয়ের পর উচ্ছ্বসিত ইয়ামাল বলেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত। এটা স্বপ্নের মতো। আমি স্পেনে ফিরতে এবং সমর্থকদের সঙ্গে উদ্যাপনে মাততে উন্মুখ হয়ে আছি। এটা আমার জন্মদিনের সেরা উপহার।’
এদিকে ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমি ও ফাইনাল তিন ম্যাচেই অ্যাসিস্ট করেছেন ইয়ামাল। ইউরোপীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ এই লড়াইয়ের ইতিহাসের এমন কীর্তি গড়া প্রথম খেলোয়াড় তিনিই।
সদ্য শেষ হওয়া ইউরোর এই আসরে একটি গোল ছাড়াও ইয়ামাল অ্যাসিস্ট করেন চারটি, যা ইউরোর এক আসরে কোনো ফুটবলারের করা সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্টের রেকর্ড। এতে অনেকেই টুর্নামেন্ট সেরা ফুটবলার হিসেবে দেখছিলেন তাকে। তবে সেই পুরষ্কার রদ্রির হাতে থামলে ইয়ামাল পান টুর্নামেন্টের সেরা তরুণের খেতাব।