রিয়ালের জার্সি গায়ে এমবাপে এখন ‘সুখী বালক’

রিয়ালের জার্সি গায়ে এমবাপে এখন ‘সুখী বালক’

সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে এদিন কোনো ম্যাচ ছিল না। ছিল একজনকে বরণ করার দিন। এমন একজন যাকে ঘিরে রিয়াল মাদ্রিদ সামনের দিনে সাফল্যের স্বপ্ন বুনছে। গ্যালারিপূর্ণ ছিল ৮০ হাজার রিয়াল সমর্থকে। আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) এরা সবাই এসেছিলেন কিলিয়ান এমবাপেকে বরণ করতে। রিয়ালের জার্সি গায়ে ভরা গ্যালারির দিকে তাকিয়ে এমবাপে বিস্ময়ভরা গলায় বলেন, ওয়াও!

স্প্যানিশ ভাষায় তার এই কথামালার জবাবে পুরো জমাট গ্যালারি থেকে করতালির ঝড় উঠলো! আবেগমন্থিত গলায় ফ্রান্সের এই ফুটবলার বললেন, ‘আমার স্বপ্ন সত্যি হয়েছে! অনেক বছর ধরেই স্বপ্ন দেখছিলাম, আমি রিয়াল মাদ্রিদে খেলবো। আজ আমার সেই স্বপ্ন পুরো হয়েছে।’

২৫ বছর বয়সী এমবাপে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই থেকে নতুন মৌসুমে নাম লিখিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদে। সাম্প্রতিক সময়ে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়া সবচেয়ে আলোচিত এবং তুখোড় খেলোয়াড়দের মধ্যে এমবাপেই সর্বসেরা।

রিয়ালের প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ ক্লাবের মর্যাদাপূর্ণ ৯ নম্বর জার্সি এমবাপের হাতে তুলে দেন। রিয়ালে যোগ দিতে পেরে নিজের আনন্দ গোপন রাখার কোনো চেষ্টাই করেননি এমবাপে। বললেন, 'আমি এখন অনেক সুখী এক বালক! এই ক্লাবের জন্য আমি আমার জীবন দিয়ে দিবো।’

রিয়ালের ভিআইপি গ্যালারিতে বসে তখন হাততালি দিচ্ছিলেন ক্লাবের আরেক গ্রেট জিনেদিন জিদান। যে গ্যালারিতে বসেছিলেন এমবাপের গর্বিত বাবা-মা। গ্যালারিতে ৮০ হাজার দর্শক তখন গলা ফাটাচ্ছেন এমবাপে, এমবাপে বলে চিৎকার তুলে! এমন আবেগময় মুহূর্তে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি এমবাপেও। রিয়ালের জার্সি মনোগ্রামে চুমু খেয়ে হাত উঁচিয়ে সমর্থকদের ভালোবাসার জবাব দেন তিনি।

সংক্ষিপ্ত ভাষণে ক্লাবের প্রেসিডেন্ট পেরেজ বলেন, ‘এমবাপে হলো অসাধারণ একজন খেলোয়াড়। রিয়ালের জয়ের ধারা যেন ধারাবাহিক থাকে সেই সহায়তার জন্য তিনি এসেছেন।’

এবারের ইউরোর সেমিফাইনালে স্পেনের কাছে হেরে বিদায় নেয় ফ্রান্স। এমবাপে এই মিশনে ফ্রান্সের অধিনায়ক ছিলেন। রিয়াল তাদের নতুন মৌসুম শুরু করতে অনুশীলনে নেমে পড়েছে। তবে এমবাপে আরো কদিন বাদে দলের অনুশীলনে যোগ দেবেন।

এই মৌসুমে রিয়ালের আক্রমণভাগের নামগুলো শুনুন- ইংল্যান্ডের জুড বেলিংহ্যাম, ব্রাজিলের ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও ফ্রান্সের এমবাপে। কোচ কার্লো আনচেলত্তির এই আক্রমণভাগকে মোকাবেলা করাটাই হবে যেকোনো প্রতিপক্ষের জন্য সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার বিষয়।

সম্পর্কিত খবর