‘বাংলাদেশ ক্রীড়াঙ্গনে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন আতিক’
কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদ আতিকুর রহমানের জন্য শোকাহত বাংলাদেশ ক্রীড়াঙ্গন। বুধবার সকালে ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে মারা যান তিনি। ৫৯ বছর বয়সে মারা যাওয়া এই শুটার রেখে গেলেন স্ত্রী ও দুই সন্তান।
১৯৯০ সালে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে কমনওয়েলথ গেমসে সোনার পদক জেতেন তিনি। যা কীনা দেশের ক্রীড়া ইতিহাসের সেরা অর্জনের একটি।
কমনওয়েলথ গেমসে প্রথম স্বর্ণজয়ী শুটার আতিকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান এমপি। শোকবার্তায় মন্ত্রী মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনাও জানান।
আজ এক শোকবার্তায় মন্ত্রী নাজমুল হাসান বলেন, ‘কমনওয়েলথ গেমস শুটিংয়ে বাংলাদেশের প্রথম স্বর্ণজয়ী শুটার আতিকুর রহমান। দেশের শুটিং এর উন্নয়ন তথা গোটা ক্রীড়াঙ্গনে তাঁর অনবদ্য অবদানের জন্য তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তাঁর মৃত্যু দেশের ক্রীড়াঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।’
১৯৯০ সালে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড কমনওয়েলথ গেমসে আতিকুর রহমান ১০ মিটার পিস্তল ইভেন্টে আব্দুস সাত্তার নিনির সঙ্গে জুটি গড়ে স্বর্ণ জেতেন। ব্যক্তিগত ইভেন্টে পান ব্রোঞ্জ। কমনওয়েলথের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ান গেমসেও স্বর্ণ জয়ের কৃতিত্ব আছে আতিকুর রহমানের।
সাফল্যের স্বকিৃতি হিসেবে শুটার আতিক পেয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক স্বাধীনতা পুরস্কার। এছাড়াও জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার, বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি, বাংলাদেশ ক্রীড়া সাংবাদিক সংস্থা ছাড়াও আরো অনেক স্বীকৃতি আর পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।