বাংলাদেশ পরিস্থিতিতে চোখ রাখছে আইসিসি
আসছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক বাংলাদেশ। সেই টুর্নামেন্টের সব আয়োজন চলছিল নিজের গতিতেই। টুর্নামেন্টের দুই মাস আগে দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে অবনতি হয়। যার ফলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইসিসি।
গেল সপ্তাহে সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা সংস্কারের আন্দোলন ঘিরে দেশজুড়ে বিক্ষোভ দেখা দেয়। সংঘর্ষও ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। বিভিন্ন জায়গায় হামলা-অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে অনেক। আইসিসি জানিয়েছে, পুরো পরিস্থিতিটি নজরে আছে তাদের।
আইসিসির এক সূত্র ক্রিকবাজকে অবশ্য সুখবর দিয়েছে। তাদের পর্যবেক্ষণ, পুরো পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে। আইসিসির ভাষ্য, ‘আমরা পরিস্থিতিটা খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণে রেখেছি। টুর্নামেন্টটা অবশ্য বেশ দূরেই আছে এখনও। শেষ ২৪ ঘণ্টায় পরিস্থিতিতেও বেশ উন্নতি হয়েছে। বিষয়টা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকেও জানানো হয়েছে।’
আন্দোলনের কারণে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে ৫ দিন ইন্টারনেট বন্ধ ছিল সারা দেশে। কারফিউ চলেছে এই সময়ে। তবে গেল রাত থেকে প্রাধান্যের ভিত্তিতে ইন্টারনেট সেবা দেওয়া শুরু হয়েছে। জরুরি সেবা, আর্থিক ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যমকে শুরুর দিকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। কারফিউও শিথিল করেছে সরকার। মহাসড়কে যান চলাচল করছে এখন। সরকারি-বেসরকারি অফিসও চার ঘণ্টার জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। আইসিসিও তাই পরিস্থিতি উন্নতির দিকে আছে বলেই ধরে নিচ্ছে।
আগামী ৩ অক্টোবর থেকে ১০ দল নিয়ে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে। ২০ অক্টোবর শেষ হবে এই টুর্নামেন্ট।