ওয়ানডে অভিষেকে বোলিংয়ে নতুন রেকর্ড স্কটল্যান্ডের কাসেলের
প্রোটিয়া তারকা পেসার কাগিসো রাবাদার ওয়ানডে অভিষেকটা ২০১৫ সালে। মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ১৬ রান খরচে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন এই ডানহাতি পেসার। যা এতদিন ওয়ানডে অভিষেকে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড ছিল। তবে রাবাদাকে ছাপিয়ে এই রেকর্ড এখন স্কটল্যান্ডের চার্লি কাসেলের। ফোর্টহিল ক্যাসেলে বিশ্বকাপের লিগ টু-এর ম্যাচে গত সোমবার ওমানের বিপক্ষে ২১ রান খরচে ৭ উইকেট নেন এই ডানহাতি পেসার। যা ওয়ানডেতে এখন অভিষেক সেরা বোলিংয়ের নতুন রেকর্ড।
ওমানের বিপক্ষে সেই ম্যাচটিতে স্কটিশরা জিতেছে ৮ উইকেটে। আগে ব্যাট করতে নেমে ২১ ওভার ৪ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে স্রেফ ৯১ রান তোলে ওমান। জবাবে ১৭ ওভার ২ বলেই সেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্কটল্যান্ড।
কাসেল বোলিংয়ে আসার সময় ওমানের স্কোরবোর্ডে ছিল ২ উইকেটে ৪৯ রান। পরে নিজের স্পেলের প্রথম দুই বলেই দুটি উইকেট নেন তিনি। এক বল বাদে নেন আরও একটি। এতেই প্রথম ওভারে কোনো রান দিয়ে কাসেল উইকেট তুলেছিলেন তিনটি। পরে শেষ পর্যন্ত ৫ ওভার ৪ বলে ২১ রানে নেন ৭ উইকেট।
ওয়ানডে ইতিহাসে কাসেলের এই বোলিং ফিগারটি সপ্তম সেরা। ২০০১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৯ রানে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন চামিন্দা ভাস। প্রায় দুই যুগ ধরে সেই রেকর্ড আছেন এখনো অক্ষত।
কাসেল, রাবাদা ছাড়া ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেকে ৬ উইকেট নেওয়ার কীর্তি আছে কেবল ক্যারিবীয় পেসার ফিডেল এডওয়ার্ডসের। তবে অভিষেকে ফাইফার নেওয়ার কীর্তি আছে ১৫ জনের। যেই তালিকায় আছেন দুই বাংলাদেশি বোলার। ২০১৪ সালের ভারতের বিপক্ষে নিজের ওয়ানডে অভিষেকে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তাসকিন। এক বছর পর একই মাঠ ও একই দলের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেকের ফাইফার পেয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমানও।