বাংলাদেশকে গুঁড়িয়ে ফাইনালে ভারত

বাংলাদেশকে গুঁড়িয়ে ফাইনালে ভারত

লড়াইটা অসমই ছিল। হট ফেভারিট ভারতের সামনে পড়েছিল বাংলাদেশ, যারা চলতি বছরের শুরু থেকে পায়ের তলায় মাটি খুঁজে ফিরছে। এমন লড়াইয়ে জিততে হলে বাংলাদেশকে অসাধারণ কিছুই করতে হতো। কিন্তু নারী এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল তা করে দেখাতে পারেনি। ভারতের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণের পর বাংলাদেশ ম্যাচটা হেরেছে ১০ উইকেটে। আর তাতে সব বার ফাইনালে খেলার রেকর্ডটা অক্ষুণ্ণ রাখল হারমানপ্রীত করের ভারত। 

আগের ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং পারফর্ম্যান্স দেখিয়েছিল বাংলাদেশ টপ অর্ডার। সে ছন্দে ভরসা রেখেই হয়তো, বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি বেছে নিয়েছিলেন ব্যাট করার সিদ্ধান্ত। কিন্তু তার সে সিদ্ধান্ত মোটেও ফল দেয়নি দলকে। দিলারা আক্তারের ছক্কা মেরে শুরুটা শেষ হয়ে গেল পরের বলেই, রেনুকা সিংয়ের শিকার হয়ে তিনি ফেরেন সাজঘরে। সেই যে ধসের শুরু, সে ধস আর কেউ সামাল দিতে পারেননি। 

টপ অর্ডারটা রেনুকাই গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন। দিলারাকে দিয়ে শুরুর পর মুরশিদা খাতুন আর ইসমা তানজিমকে ফেরান এক অঙ্কে। বাংলাদেশ ২১ রান তুলতে খুইয়ে বসে ৩ উইকেট। রুমানা আহমেদ, রাবেয়া খান আর রিতু মনিরাও ফেরেন দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই। বাংলাদেশ ৪৪ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে তখন কাঁপছে। 

সেখান থেকে দলের রানটাকে কিছুটা হলেও ভদ্রস্থ রূপ দেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। তাকে সঙ্গ দেন স্বর্ণা আক্তার। দুজন মিলে সপ্তম উইকেটটে যোগ করেন ৩৬ রান। নিগার এবারের এশিয়া কাপে আগের দুই ইনিংসে করেছিলেন যথাক্রমে ৬২ আর ৪৮, দুই ইনিংসেই ছিলেন অপরাজিত। আজ তাকে সাজঘরের পথ দেখান রাধা যাদব। শেষ ওভারে তিনি ফেরেন ৩২ রানের ইনিংস খেলে। শেষ ওভারের প্রথম বলে তিনি বিদায় নিচ্ছেন যখন, বাংলাদেশের রান তখন ৮০; এরপর আরও একটা উইকেট খুইয়েছে দল, তবে আর কোনো রান যোগ করতে পারেনি। ফলে ৮০ রানই হয় দলের পুঁজি, ভারতের সামনে লক্ষ্যটা পড়ে ৮১ রানের। 

ভারতের উড়তে থাকা ব্যাটিং লাইন আপের সামনে এই রান নেহায়েতই বালির বাঁধ বলে মনে হচ্ছিল। ভারতীয় ব্যাটাররা রান তাড়া করতে নেমে তাই প্রমাণ করেন। শুরু থেকে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হন দুই ওপেনার শেফালি ভার্মা আর স্মৃতি মান্ধানা। দুজন মিলেই খেলাটা শেষ করে দিয়ে আসেন। ভারত ১০ উইকেটের জয় নিয়ে চলে যায় ফাইনালে, টানা দশম বারের মতো। 

সম্পর্কিত খবর