পাকিস্তানকে বিদায় করে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা

পাকিস্তানকে বিদায় করে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা

দিনের প্রথম সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে উড়িয়ে ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল ভারত। অপেক্ষা ছিল দ্বিতীয় ফাইনালিস্টের। দিনের শেষে সে অপেক্ষাটাও ঘুচল। পাকিস্তানকে ৩ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা।

ডাম্বুলা স্টেডিয়ামে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠায় লঙ্কানরা। পাকিস্তান অবশ্য শুরুটা বেশ ভালো করেছিল। গুল ফিরোজা আর মুনিবা আলীর ওপেনিং জুটিতেই চলে এসেছিল ৬১ রান। তবে ইনিংসের এ অর্ধে দুই ওপেনার একটু বেশিই ধীরগতিতে খেলছিলেন। ৬১ রান এসেছিল ৫৫ বলে। তার ওপর তিনে নামা সিদরাহ আমিনও রানের গতি বাড়াতে পারেননি, ১৩ বলে ১০ রান করে বিদায় নিয়েছেন। 

শেষ দিকে নিদা দার আর ফাতিমা সানা দুজনেই ১৭ বলে ২৩ করে করেন, আলিয়া রিয়াজ করেন ১৫ বলে ১৬ রান। তবে তাতে দলের পুঁজি দাঁড়ায় ১৪০, ৪ উইকেটের বিনিময়ে; ডাম্বুলার রানপ্রসবা উইকেট বিচারে যাকে একটু কম বলেই মনে হচ্ছিল। 

জবাবে শ্রীলঙ্কা অবশ্য ১৯ রান তুলতেই ভিশ্মি গুনারত্নে আর হার্শিতা সামারাবিক্রমাকে খুইয়ে বসে। তবে এরপরই চামারি আতাপাত্তু প্রতিরোধ গড়েন। শুরুতে কিছুটা ধীরগতিতেই এগিয়েছেন। তবে সময় যত গড়িয়েছে, তার ব্যাটের ধার বেড়েছে তত। তৃতীয় উইকেটে কাভিশা দিলহারিকে সঙ্গে নিয়ে ৪৯ রান যোগ করেন তিনি। 

সাদিয়া ইকবাল এরপর আবারও পাকিস্তানকে ম্যাচে ফেরান ৩ বলে ২ উইকেট নিয়ে। শুরুতে কাভিশা, এরপর নীলাক্ষীকে ফেরান তিনি। তবে চামারি আতাপাত্তুর প্রতি আক্রমণে লঙ্কানরা জয়ের দিকে এগোচ্ছিল ভালোভাবেই। ৪৮ বলে ৬৩ রান করা চামারিকে ফেরান সেই সাদিয়া ইকবালই। 

পরের ওভারে হাসিনি পেরেরা যখন ফিরলেন রান আউট হয়ে, তখন মনে হচ্ছিল শ্রীলঙ্কা বুঝি চাপে ভেঙে পড়ছে। শেষমেশ সেটা হতে দেননি আনুষ্কা সঞ্জীবনী আর সুগন্ধা কুমারি। দুজন সপ্তম উইকেটে ১৫ রানের জুটি গড়ে শ্রীলঙ্কাকে শঙ্কামুক্ত করেন। জয় থেকে ৩ রানের দূরত্বে সুগন্ধা ফেরেন বটে, তবে লঙ্কানরা ঠিকই শেষমেশ পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে। আগামী রবিবারের ফাইনালে এই ডাম্বুলা স্টেডিয়ামেই মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা আর ভারত। 

সম্পর্কিত খবর