বর্ণিল আলোয় প্যারিস অলিম্পিকের ‘যাত্রা’ শুরু
শিরোনামটা পড়ে খানিকটা ভ্রূ কুঁচকে যেতে পারে আপনার। অলিম্পিকের শুরু তো হয়েই গিয়েছিল দু’দিন আগে। ফুটবলে আর্জেন্টিনা-মরক্কো ম্যাচটা আলোচনার জন্ম দিয়েছে, বাংলাদেশের আর্চার সাগর ইসলামও তির ধনুক নিয়ে মাঠে নেমে গেছেন, একটা রেকর্ডও হয়ে গেছে ইতোমধ্যে… কত কী যে হয়েছে শেষ দুই দিনে! তবে অলিম্পিক তার যাত্রাটা ‘আনুষ্ঠানিকভাবে’ শুরু করল গত রাতে। বর্ণিল রোশনাই, জমকালো আয়োজনে প্যারিসে যাত্রা শুরু করল অলিম্পিক ২০২৪।
ফ্রান্সের প্যারিস অলিম্পিকের সবচেয়ে পুরোনো আয়োজক শহরের একটা। ১৯০০ সালের অলিম্পিক, এরপর ১৯২৪ অলিম্পিকও আয়োজন করেছিল এই শহর। তবে পরের বার অলিম্পিকের আয়োজক হতে হতে কেটে গেছে ১০০টি বছর। অবশেষে সে অপেক্ষা ঘুচেছে। রেকর্ড তৃতীয় বারের মতো অলিম্পিকের আয়োজক বনে গেল প্যারিস।
১৯৪৮ অলিম্পিকে দলীয় সাইক্লিংয়ে সোনা জেতা চার্লস কোস্তেকে আনা হয় এই অনুষ্ঠানে। তার হাতে ছিল অলিম্পিকের মশাল। তিনি তা তুলে দেন সাবেক স্প্রিন্টার মেরি-হোসে পেরেক আর জুডোকা টেডি রেনারের হাতে। অলিম্পিকের মশালটা জ্বালেন তারা।
তার আগে মশাল দৌড়ের শুরুতেই দেখা মেলে ফ্রান্সের কিংবদন্তি ফুটবলার ও কোচ জিনেদিন জিদানের। স্তাদ দি ফ্রান্স থেকে তিনি বের হন অলিম্পিকের মশাল নিয়ে।
এরপর অ্যাথলেটদের নৌ প্যারেড একটা একটা করে কন্টিনজেন্ট ঢুকতে থাকে এসে মূল ভেন্যুতে। শুরুটা হয়েছিল অলিম্পিকের জন্মভূমি গ্রীসকে দিয়ে, এরপর শরণার্থীদের দল, এরপর থেকে বর্ণানুক্রমিকভাবে এক একটি দল আসতে থাকে মাঠে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিনোদন জগতের বৈশ্বিক তারকারাও। আমেরিকান পপ তারকা লেডি গাগা, সেলিন ডিওন, পপ তারকা আয়া নাকামুরাসহ আরও অনেকে। একের পর এক পারফর্ম্যান্সে উদ্ভাসিত করেছেন অলিম্পিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে। তাতে উঠে আসে অলিম্পিকের শতবর্ষী ইতিহাস আর ঐতিহ্যও।