জিম্বাবুয়েকে ‘টুরিং ফি’ দেবে ইংল্যান্ড

জিম্বাবুয়েকে ‘টুরিং ফি’ দেবে ইংল্যান্ড

টেস্ট ক্রিকেটকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করতে এবং আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আয়ের অসমতা কমাতে চায় ইংল্যান্ড। আগামী বছর জিম্বাবুয়ে একটি টেস্ট খেলতে ইংল্যান্ডের মাটিতে যাবে। যার জন্য ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) জিম্বাবুয়েকে 'টুরিং ফি' দেবে বলে জানিয়েছে ইসিবির প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গুল্ড।

এই টুরিং ফি দেবার প্রচলন নতুন নয়। তবে নতুন করে তা আবার চালু করতে চায় ইসিবি। গতকাল (শুক্রবার) ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের এজবাস্টন টেস্টের মাঝে সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইক আথারটনের সঙ্গে আলোচনায় জিম্বাবুয়েকে 'টুরিং ফি' দেবার ব্যাপারটি নিশ্চিত করেন রিচার্ড গুল্ড।

তিনি বলেছেন, ‘ধরুন, আগামী বছর জিম্বাবুয়ে আসবে ইংল্যান্ডে সফরে। সফরকারী দল কোনো দেশে যাওয়ার পর তাদের আবাসন ও অন্যান্য কিছুর দায়িত্ব আয়োজক বোর্ডের থাকে। কিন্তু সফরের জন্য কোন নির্ধারিত ফি থাকে না। আগামী বছর যখন জিম্বাবুয়ে যখন ইংল্যান্ডে আসবে তাদের আমরা ফি দেব।’

রিচার্ড বিসিসিআই, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী ক্রিকেট বোর্ডগুলোকে ক্রিকেটের এই বৈষম্য দূর করতে আহ্বান করেন। অনেক আগে থেকেই এই প্রসঙ্গে তিনি কথা বলে আসছেন। তবে তার হাত ধরেই 'টুরিং ফি' দেবার ব্যাপারটি শুরু হচ্ছে।

দ্বিপাক্ষিক সিরিজের যাওয়ার বিমান ভাড়াসহ আনুসঙ্গিক নানা খরচ সফরকারী বোর্ডকে বহন করতে হয়। সফরে যাওয়ার পর অধিকাংশ সফরকারী দলের খরচের বেশিরভাগ সময়ই বহন করে আয়োজক দেশ। তবে এই ক্ষেত্রে আয়োজক দেশই আর্থিকভাবে সচ্ছল হয়।

টিভি সম্প্রচার স্বত্ব, বিজ্ঞাপন, টিকিট বিক্রি সহ যে কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজের সবটুকু আয় আয়োজক বোর্ড পেয়ে থাকে। সফরকারী দল শুধু খরচই করে থাকে। তবে আর্থিকভাবে লাভবান হবার এই বিভেদ দূর করতে জিম্বাবুয়েকে আগামী বছর টুরিং ফি দেবার মাধ্যমে প্রথম পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে ইংলিশরা।

জিম্বাবুয়ে দীর্ঘ ২২ বছর পর ইংল্যান্ড সফরে যাচ্ছে। আফ্রিকার এই দেশটি এখন পর্যন্ত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র চারটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে।

 

সম্পর্কিত খবর