সাইফউদ্দিনকে মিস করছে বাংলাদেশ!
বাংলাদেশ বিশ্বকাপে যেখানেপারফর্ম্যান্স হাপিত্যেশ জাগায়৷ টাইগারদের সবচেয়ে হতাশার বিশ্বকাপ নিশ্চয়ই। তেমনি এদেশের ক্রিকেটের আরও একটা হাপিত্যেশ কিংবা আক্ষেপের নাম পেস বোলিং অলরাউন্ডার। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন সেখানে আশা জাগিয়েছিলেন, নিয়মিত পারফর্মও করছিলেন। তবে কিন্তু বছর দুয়েকের মধ্যে কোথাও যেন নাই।
বছর খানেক আগেই জাতীয় দলে ফিরেছিলেন। এশিয়া কাপে সুযোগ পেয়েছিলেন, প্রথমে নাম ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডেও। কিন্তু ফিটনেস এবং গড়পড়তা পারফর্ম্যান্সের কারণে ছিটকে যান বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে।
এরপর গত একবছরে একবারের জন্যও সাইফের জন্য জাতীয় দলের দরজা আর খুলেনি। দিন যত বেড়েছে, বাংলাদেশের একাদশেও সাইফউদ্দিন তথা পেস বোলিং অলরাউন্ডারের আক্ষেপও ততই বেড়েছে।
একজন সাকিব একাদশে থাকা মানে একজন জেনুইন ব্যাটার এবং একজন জেনুইন বোলার পাওয়া। অর্থাৎ একজন ক্রিকেটার বাড়তি নিয়ে খেলার সমান সুবিধা পাওয়া। একজন সাইফউদ্দিনের ক্ষেত্রেও তাই। সাইফউদ্দিন থাকা মানে পাওয়ার প্লে এবং ডেথ ওভারে নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন ক্যাপ্টেন। আবার সাইফউদ্দিনই ব্যাট হাতে খেলতে পারেন কম বলে বেশি রানের ক্যামিও। এছাড়াও আছে ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর সেটা সামাল দেওয়ার ক্ষমতা। ওপরে বলা সব কথাই তিনি সত্য করে দেখিয়েছেন। বিশ্বমঞ্চেই দেখিয়েছে, এইতো গেলো বিশ্বকাপেই।
আরও একটা বিশ্বকাপ চলছে, সাইফউদ্দিনের আরও একটা জন্মদিন। তবে এবার সেটা পুর্নবাসন থেকেই দেখতে হচ্ছে। সাইফউদ্দিনের জন্য শুভকামনা দলে ফেরার, শুভকামনা জন্মদিনের।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাদা বলের দুই ফরম্যাটেই বাংলাদেশকে সামনে থেকেই প্রতিনিধিত্ব দিয়েছেন। ওয়ানডেতে ২৮ ইনিংসে শিকার ৪১ উইকেট। ব্যাট হাতে ১৯ ইনিংসে ৮৫.৭৮ স্ট্রাইক রেট আর ৩৬.২০ গড়ে করেছেন ৩৬২ রান। টি-টোয়েন্টিতে ৩৪ ইনিংসে উইকেটও ৩৪ টা। ব্যাট হাতে ২০ ইনিংসে ১৮.১৮ গড়ে রান করেছেন ২০০। এছাড়াও লিস্ট এ তে আছে ১৭৩ উইকেট আর ১৪৯৭ রান। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে আছে ১৩০ উইকেট আর ৪৯৭ রান।