ভারতকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা

ভারতকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা

এক দুবার নয়, এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কা খেলেছে আরও ৫ বার। তবে প্রতি বারই ম্যাচ শেষে লঙ্কানরা দূর থেকে চেয়ে চেয়ে দেখেছে প্রতিপক্ষের উল্লাস। প্রতি বারই সে প্রতিপক্ষটা ছিল ভারত। 

এবারও ফাইনালে প্রতিপক্ষ ছিল অভিন্ন। সেই ভারতকে ষষ্ঠ বারের চেষ্টায় এশিয়া কাপের ফাইনালে হারাল শ্রীলঙ্কা। ৮ উইকেটে হারিয়ে গড়ে ফেলল ইতিহাস। প্রথম বারের মতো বনে গেল নারীদের ক্রিকেটে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন।

নারীদের ক্রিকেটের কথা মাথায় রাখলে লক্ষ্যটা শ্রীলঙ্কার বড়ই ছিল। ১৬৬ রান করতে হতো জিততে হলে। উইকেট যতই রানপ্রসবা হোক না কেন, কাজটা সহজ ছিল না!

চামারি আতাপাত্তু সেই কঠিনেরেই বেসেছিলেন ভালো। শুরু থেকে প্রতি আক্রমণে দলকে রেখেছিলেন রান তাড়ার কক্ষপথে। শুরুতে উইকেট খোয়ানো শ্রীলঙ্কা তাই কখনও চাপে পড়েনি। ৬ ওভারে ৪৪, ১০ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কা রান তুলে ফেলেছিল ৮০, ওই একটা উইকেট খুইয়েই। 

তবে সে চামারির ইনিংস শেষ হলো ১২তম ওভারের শেষে। ৪৩ বলে ৬১ করে দীপ্তি শর্মার বলে বোল্ড হন তিনি। শ্রীলঙ্কা তখনও জয় থেকে অনেক দূরে। সে পথটা দলটাকে তরিয়ে দেন হারশিতা সামারাবিক্রমা। 

শুরুতে চামারির পার্শ্বচরিত্র হয়ে ছিলেন তিনি, সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছিলেন স্রেফ। তবে চামারির বিদায়ের পর তিনি গিয়ার বদলে চলে এলেন প্রধান চরিত্রে। ১৩তম ওভারের শুরুতে ৩০ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তিনি যখন ইনিংস শেষ করে উঠছেন, তখন তার নামের পাশে ৬৯ রান জ্বলজ্বল করছে, তাও মাত্র ৫১ বলে। 

তাকে ওপাশ থেকে দারুণভাবে সঙ্গ দিয়েছেন কাভিশা দিলহারি। ৩০ রান করেছেন তিনি, ১৬ বল খেলে। উইনিং শটটাও এসেছে তারই ব্যাট থেকে। 

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ১৪ রানের মধ্যেই দুই উইকেট হারিয়ে বসে ভারত। অবশ্য আরেক ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা নিজের উইকেট ধরে রেখে এগিয়েছেন দারুণ ছন্দে। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৪৭ বলে ৬০ রান এসেছে তার ব্যাট থেকেই।

পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারেই কোনো উইকেট না হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৪৪ রান তুলেছিলেন দুই ওপেনার শেফালি ও স্মৃতি। তবে পাওয়ারপ্লের শেষের এক বল পরই ১৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন শেফালি। দলীয় ৫৮ রানের মাথায় একই রাস্তা মাপেন উমা ছেত্রিও। তবে উইকেট ও রানের চাকা দুটি আগলেই এগিয়ে গিয়েছেন মান্ধানা।

শেষে জেমিমাহ ও রিচার ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ওভার শেষে ১৬৫ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় ভারত। তখন পুঁজিটাকে বড় মনে হলেও ম্যাচ শেষে আর সে ধারণা ধোপে টেকেনি। ৮ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটের দারুণ জয়ে ইতিহাস গড়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। 

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

ভারতঃ ১৬৫/৬ (২০ ওভার); স্মৃতি ৬০, রিচা ৩০; কাভিশকা ২-৩৬, উদেশিকা ১-২৭

শ্রীলঙ্কাঃ ১৬৭/২ (১৮.৪ ওভার); হার্শিতা ৬৯*, চামারি ৬১; দিপ্তি ১-৩০, রেনুকা ০-২৩

ফলাফল: শ্রীলঙ্কা ৮ উইকেটে জয়ী 

সম্পর্কিত খবর