গর্ভে সাত মাসের সন্তান, তবু অলিম্পিকে লড়লেন মিসরীয় ফেন্সার

গর্ভে সাত মাসের সন্তান, তবু অলিম্পিকে লড়লেন মিসরীয় ফেন্সার

ছবিটা দেখে মনে হতে পারে দুইজন ফেন্সার লড়াই করছেন। আদতে সংখ্যাটা তিন। একটু অবাক হলেন কি? হতেই পারেন। তবে এবার একটু বিস্তারিত বলা যাক - মিশরের ফেন্সার নাদা হাফেজ যখন অলিম্পিক ফেন্সিংয়ের শেষ ষোলোতে সাউথ কোরিয়ার হা-ইয়াং জিওনের বিপক্ষে হেরে মাঠ ছাড়ছিলেন, তখন ম্যাচ হেরেও দর্শকদের করতালি সিক্ত হচ্ছিলেন। 

কারণটা অবশ্য পরে তিনি নিজেই তার ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দিয়ে জানালেন।  ‘’পোডিয়ামে আপনারা দুজন খেলোয়াড়কে দেখেছেন, আসলে আমরা তিনজন ছিলাম! আমি, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী এবং আমার ছোট্ট সন্তান, যে এখনো পৃথিবীতে আসেনি! আমি ও আমার সন্তান শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রতিপক্ষকে দারুণ চ্যালেঞ্জ জানাতে পেরেছি। এটা গর্বের। এটা আমার সত্তাকে পূর্ণতা দিয়েছে।’’ 

২৬ বছর বয়সী নাদা পেশাগত জীবনে ফেন্সিংয়ের পাশাপাশি একজন প্যাথলজিস্টও। প্যারিসে যখন তার দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন গর্ভে সাত মাসের সন্তান নিয়ে। এমন দুসাহসিক  কান্ড রীতিমতো হৈ চৈ ফেলে দিয়েছে স্যোশাল মিডিয়ায়। বেশ প্রশংসিত হচ্ছেন এই ফেন্সার।  

এমন জার্নি পরিবারের সাপোর্ট ছাড়া সম্ভব না সেটা অবশ্য সবারই জানা। এমন আবেগঘন সময়ে নাদা কৃতজ্ঞতা জানাতে একদমই ভুল করেননি।  

‘’গর্ভাবস্থার এই যাত্রাটা রোলারকোস্টারের মতোই বেশ কঠিন। কিন্তু জীবন ও খেলাধুলার ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য এই লড়াই কোনো দিক থেকে কম তীব্রতর ছিলো না। এটা আমার কাছে মূল্যবান। আমি ভাগ্যবান যে আমার স্বামী ও পরিবারের আস্থা অর্জন করতে পেরেছি এবং এত দূর আসতে পেরেছি।’’ 

রিও-বেইজিং এবং প্যারিস এ নিয়ে টানা তিন অলিম্পিকে ফেন্সিংয়ে মেয়েদের ব্যক্তিগত স্যাবরে ইভেন্টে অংশ নিলেন নাদা হাফেজ।

সম্পর্কিত খবর